প্রতিদিনের রুটিনে এই ৬ পরিবর্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে
ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলোর মধ্যে একটি। তবে অনেকেই জানি না যে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে এই ঝুঁকিকে অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এই পরিবর্তনগুলোর জন্য কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। সাধারণ পরিবর্তনগুলো ধীরে ধীরে বেশ ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৬টি অভ্যাস সম্পর্কে-
১. ফল এবং সবজি খাওয়া
বিজ্ঞাপন
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ফল ও সবজি রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। এই খাবারগুলো প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে রাখতে পারে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি ফল এবং শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস ফুসফুস, মুখ, গলা এবং পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. ব্যায়াম করা
শারীরিক কার্যকলাপ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এগুলো সবই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট পরামর্শ দেয় যে, প্রাপ্তবয়স্করা স্তন, কোলন এবং এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করবেন।
আরও পড়ুন
৩. অ্যালকোহল বাদ দেওয়া
অ্যালকোহল সেবন করলে তা লিভার, স্তন এবং খাদ্যনালী সহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অ্যালকোহল ডিএনএর ক্ষতি করতে পারে এবং শরীরের পুষ্টি শোষণের ক্ষমতাকে ব্যাহত করে, উভয় কারণেই ক্যান্সার হতে পারে। আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্চ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অ্যালকোহন গ্রহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়।
৪. ধূমপান এবং সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপান এড়িয়ে চলুন
তামাক ব্যবহার বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের প্রধান কারণ, বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সার। শুধু ধূমপান করলেই এমনটা ঘটে তা নয়, ধূমপানকারী আশেপাশে থাকলেও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলে যে, ধূমপান ত্যাগ করা এবং সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপান এড়ানোর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হতে পারে।
৫. নিয়মিত চেকআপ করানো
প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজ হয়। নিয়মিত স্ক্রীনিং যেমন ম্যামোগ্রাম, প্যাপ স্মিয়ার এবং কোলনোস্কোপি যথাক্রমে স্তন, জরায়ু এবং কোলনের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। ইউএস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বয়স-উপযুক্ত স্ক্রীনিং নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়।
৬. সূর্য থেকে নিরাপদ দূরত্ব
ত্বকের ক্যান্সার সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ক্যান্সারের একটি, তবে এটি সবচেয়ে প্রতিরোধযোগ্যও একটি। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী (UV) রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা ইত্যাদি অভ্যাস ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। স্কিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশন ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ সহ ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করার এবং সূর্যের সংস্পর্শে এলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর এটি পুনরায় প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়।
এইচএন