আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাঝে মাঝেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। পরিত্রাণ পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস করেন। কিন্তু এতে সাময়িক মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এই সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি পারে ঘরোয়া কিছু উপায়। তাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থাকে না। বাড়িতে থাকা বিভিন্ন উপকরণ এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. মৌরি

মৌরি বীজ নামে পরিচিত এই মসলা হজমে সহায়তা করতে এবং অম্লতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখেও পান করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে মৌরি ভিজিয়ে পান করলে তা আপনার অন্ত্র ভালো রাখতে কাজ করবে।

২. জোয়ান

জোয়ান হজমের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। কারণ এতে থাইমল নামে একটি সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা এই কাজে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি কমাতে এক চিমটি লবণ দিয়ে জোয়ান চিবিয়ে খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জোয়ান সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সেই পানি পান করুন। এতেও উপকার পাবেন।

৩. দুধ এবং দই

ঠান্ডা বা ঘরের তাপমাত্রার দুধ প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে, যা অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। পেটের অ্যাসিডের মাত্রায় ভারসাম্য আনতে অল্প অল্প করে ঠান্ডা দুধ পান করুন। দই অ্যাসিডিটি মোকাবিলায়ও বেশ কার্যকর। কারণ এতে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৪. মধু

উষ্ণ পানিতে এক চা চামচ মধু পাকস্থলীর অ্যাসিডে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে লেবু যোগ করলে তা একটি কার্যকর ক্ষারক এজেন্ট করে এবং অম্লীয় মাত্রা আরও কমিয়ে দেয়। তাই অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৫. ধনিয়াপাতা

ধনিয়াপাতা বা ধনিয়া উভয়ই অ্যাসিডিটি মোকাবিলায় সাহায্য করে। এটি পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব এবং বমির সমস্যা কমাতে পারে, যা অ্যাসিডিটির সাধারণ কিছু লক্ষণ। ঘরোয়া এই উপাদানগুলো নিয়মিত খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

এইচএন