চকোলেট খেলে মনমেজাজ ভালো থাকে একথা অনেকেরই জানা। তবে চকোলেট বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ এবং সক্রিয় রাখতে ও স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ও স্মৃতিশক্তির খেয়াল রাখে।

আজকাল অনেকেই অ্যাভোকাডো খান। এই ফলের রয়েছে অনেক গুণ। পাউরুটির সঙ্গে অ্যাভোকাডো পেস্ট খেলে উপকার পাবেন অনেকে। অ্যাভোকাডোর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালোভাবে হতে সাহায্য করে।

ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার, যার গুণ অনেক। বিশেষ করে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে ডিমের কুসুমে। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ ও ফলিক অ্যাসিড আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে।

কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে দেয় না। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক সজাগ এবং প্রখর রাখে। বয়সের ভারে স্মৃতি সংক্রান্ত রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমায়।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলালেবু। প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে এই ফলের মধ্যে। মস্তিষ্কের কোষগুলো যাতে বয়সের ভারে দুর্বল না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখে এই ভিটামিন সি।

সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় জিনিস খেলে আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হবে না। পালংশাকের সঙ্গে আরও অনেক ধরনের শাকপাতা খেতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে রোজ আমন্ড, আখরোট এগুলো খেতে পারেন। মূলত ওমেগা থ্রি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজের মধ্যে।

বিভিন্ন ধরনের জামজাতীয় ফল বিশেষ করে ব্লুবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি ফল। এই জাতীয় ফল মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। বয়সের ভারে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে দেয় না।

বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য পাতে রাখলে আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। তাই কিনুয়া, ওটস, ব্রাউন রাইস এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার খেলে আপনি উপকারই পাবেন।

মূলত তেল যুক্ত মাছ যার মধ্যে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড এবং হেলদি এসেনসিয়াল ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, সেই ধরনের মাছ খেতে পারলে আমাদের মস্তিষ্ক প্রখর হবে এবং স্মৃতিশক্তি সজাগ থাকবে।

এসএম