মেকআপ সাধারণত বাইরে কোনো দাওয়াত বা পার্টি থাকলে নেওয়া হয়ে থাকে। সুন্দর করে সেজেগুজে দাওয়াতে চলে গেলেন, যখন ফিরে এলেন তখন অনেকটাই ক্লান্ত। এরপর আবার কষ্ট করে কে মেকআপ তোলে, বরং সকালেই মুখ ধুয়ে নেওয়া যাবে। এই ভেবে ঘুমিয়ে গেলেন। আপাতদৃষ্টিতে এই ছোটখাট অভ্যাসটি আপনার ত্বকের জন্য মারাত্মক পরিণতি ঘটাতে পারে। লোমকূপ আটকে রাখা থেকে চেহারায় বয়সের ছাপ, মেকআপ পরিষ্কার না করে ঘুমালে দেখা দিতে পারে ত্বকের আরও অনেক সমস্যা।

রাতে এমন একটি চক্র আছে যেখানে আমাদের ত্বক পুরানো ত্বকের কোষগুলোকে নতুন কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেকআপ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস এই প্রক্রিয়াটিকে মারাত্মকভাবে বাধা দিতে পারে, যার ফলে ত্বকের অনেক জটিলতা দেখা দেয়।

বন্ধ লোমকূপ

মেকআপ অপসারণ না করার সবচেয়ে দ্রুত পরিণতিগুলোর মধ্যে একটি হলো লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া। সারাদিন আমাদের ত্বক ধুলো, তেল এবং অন্যান্য পরিবেশগত দূষণকারীর সংস্পর্শে থাকে। আপনি যখন মেকআপ দিয়ে ঘুমান তখন এগুলো ত্বকের ছিদ্রে আটকে যায়। মেকআপ আপনার লোমকূপকে ঘন এবং অবরুদ্ধ করে তোলে। এর ফলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, পিম্পল এবং অন্যান্য ধরণের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এটি ধীরে ধীরে আরও গুরুতর ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা আপনার বর্ণকে নিস্তেজ এবং প্রাণহীন করে দেয়।

বয়সের ছাপ

মেকআপ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। অনেক মেকআপ পণ্যে রাসায়নিক এবং প্রিজারভেটিভ থাকে যা ত্বকে বেশিক্ষণ রেখে দিলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হতে পারে। এই চাপ কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ফলাফল হিসেবে বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ যেমন সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা এবং ত্বকের স্বরের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বকের পুষ্টিতে বাঁধা

রাতে আমাদের ত্বক মেরামত এবং পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে যায়। ত্বক রাতে ত্বকের যত্নের উপকরণ থেকে উপকারী উপাদানগুলো শোষণ করে। ত্বকে মেকআপ থাকলে তা বাধা তৈরি করে যা পুষ্টিকর উপকরণগুলোকে ত্বকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সঠিক হাইড্রেশন এবং পুষ্টির অভাবের ফলে ত্বককে ক্লান্ত এবং ডিহাইড্রেটেড দেখাতে পারে।

চোখের ক্ষতি করে

চোখের মেকআপ যেমন মাস্কারা এবং আইলাইনার সঠিকভাবে অপসারণ না করলে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি হতে পারে। চোখের মেকআপ অপসারণ করতে ভুলে গেলে চোখের জ্বালা হতে পারে এবং এর ফলে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। এটি প্রদাহ, লালভাব এবং এমনকী কনজেক্টিভাইটিসের কারণ হতে পারে।

এইচএন