বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় দিনভর বৃষ্টি হয়ে থাকে। যার কারণে ঘরের দরজা জানালা খোলার উপায় থাকে না। রোদের অভাবে কিছুই শুকাতে চায় না। ঘরের এক কোণে শুকাতে দিতে হয় ভেজা জামা-কাপড়। দীর্ঘ সময় এমনটা থাকলে ঘরের মধ্যে ভাপসা গন্ধের সৃষ্টি হয়। 

ঘরের ভেতর থেকে গুমট বিশ্রী গন্ধ থেকে বাঁচতে সুগন্ধি ‘রুম স্প্রে’ কেনেন অনেকে। কেউ আবার সুগন্ধি মোমবাতিও অর্ডার দেন। তবে ঘরের দুর্গন্ধজনিত সমস্যা দূর করা যায় সহজেই। এর জন্য নিজে হাতে সুগন্ধি মোমবাতি তৈরি করে রাখতে পারেন। আর কীভাবে তা বানাবেন, চলুন জেনে নিই—

১) প্রথমে যে আকারের মোমবাতি বানাতে চান, সেই মাপের একটি পাত্র বা কাচের পাত্র জোগাড় করুন।

২) তার পর সেই পাত্রে কী পরিমাণ মোম ধরবে, সেটা দেখে নিয়ে তার দ্বিগুণ পরিমাণে মোম সংগ্রহ করে রাখুন।

৩) একটি বড় পাত্রে পানি গরম করুন। এবার আর একটি বাটিতে পরিমাণ মতো মোম নিয়ে সেই বাটিটা গরম পানির পাত্রের ওপর রেখে আঁচটা বাড়িয়ে দিন। মোমাটা যখন গলতে শুরু করবে, তখন বার বার নাড়াতে হবে, যাতে মোমটা জমাট বেঁধে না যায়।

৪) মোম যখন পুরোপুরি গলে যাবে, তখন তার মধ্যে পছন্দ মতো সুগন্ধি তেল দিয়ে দিন এবং ক্রমাগত নাড়িয়ে যান মিশ্রণটি। তেল যেন মোমের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

৫) এবার যে পাত্রে মোম ঢালবেন, সেই পাত্রে সলতে লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সলতের কোনো একটি দিক কিছু সময় গলানো মোমের মধ্যে রেখে সঙ্গে সঙ্গে সেটি কাচের পাত্রের ভেতরে বসিয়ে দিন। মিনিট খানেকের মধ্যেই মোম জমে যাবে। সলতের অপর প্রান্তটি পাত্রের বাইরে বার করে রাখুন।

৬) সলতে লাগানো হয়ে গেলে ধীরে ধীরে অর্ধেক তরল মোম পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এ সময়ে সলতের ওপর থেকে ধরে রাখবেন, যাতে সেটি একেবারে সোজা থাকে।

৭) মোম ঢালা হয়ে গেলে পাত্রটি চার ঘণ্টা একইভাবে রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে বাকি মোম পুনরায় পাত্রে ঢেলে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।

এমএ