আমরা বেশিরভাগই শুনে থাকি যে সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে রাতের খাবারও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে রাতের খাবারের টেবিলে সঠিক খাবার পছন্দ করাও অপরিহার্য। কিছু খাবার এবং পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সেগুলো ডায়াবেটিস ডায়েটে এড়ানো উচিত। বেশিরভাগই নিজের অবস্থার জন্য কোনটি সঠিক এবং কোনটি নয় সে সম্পর্কে অজ্ঞ। এ কারণে আমরা এমন কিছু খেয়ে ফেলতে পারি যা আমাদের উচিত নয়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে ডায়াবেটিস রোগীদের রাতের খাবারে কিছু ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. কোনো নির্দিষ্ট সময় না থাকা

আপনি কি একদিন সন্ধ্যা ৭ টায় এবং পরের দিন ৭ টায় রাতের খাবার খান? যদি তাই হয়, তাহলে এই অভ্যাস বদলাতে হবে। রাতের খাবারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রাখা আজকের দ্রুত-গতির জীবনে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে প্রতিদিন যতটা সম্ভব ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করুন। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাতের খাবার শুরু করলে আপনার শরীর এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বৃদ্ধি পাবে না।

২. অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ

কার্বোহাইড্রেট অস্বাস্থ্যকর এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে, কিন্তু তা আসলে ঠিক নয়। এক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ এবং আপনি যে ধরণের কার্বোহাইড্রেট খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের বদলে জটিল কার্বোহাইড্রেট বেছে নিন, কারণ এতে রক্তে শর্করার ওপর কম প্রভাব পড়ে। ওটস, বাদামি চাল, কুইনো, বাজরা এবং গমের আটা এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

৩. খাবারে ফাইবার/প্রোটিন না রাখা

এটি সবচেয়ে সাধারণ ভুল যা আমরা সবাই করি। আমাদের রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম খাবার নিশ্চিত করে যে আপনি সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন। উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার আরও ভালো নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ রাখে।

৪. পরিমিত না খাওয়া

আপনি কি প্রায়ই রাতের খাবারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন? যদি তাই হয়, তাহলে আজই তা বাদ দিন। খাবার যতই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন, তা অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে পড়তে হতে পারে নানা সমস্যায়। রাতে অতিরিক্ত খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। পেট মোটামুটি ভরে এলেই খাওয়া বন্ধ করে দিন। এভাবে অভ্যাস করলে অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারবেন।

এইচএন