কখনও ভেবেছেন লিফটে ওঠানামার সময়েও কিছু নিয়ম মানতে হয়? আপনি যখন অফিসের লিফটে চাপছেন, তখন এসব নিয়ম মেনে চলাই উচিত। শুধু কাজের জায়গা বলে নয়, শপিং মল, হাসপাতাল, কোনো আবাসনে গিয়েও কিছু নিয়ম মানতেই হয়। লিফটে ওঠানামারও যে কিছু রীতিনীতি আছে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। হয়তো ভাবেন, লিফটে উঠে বোতাম টিপে গন্তব্যে পৌঁছে নেমে গেলেই হল। তা কিন্তু নয়। সৌজন্যবোধটিও দরকার।

চলুন জেনে নেই কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে আপনার দিকে প্রশংসার চোখে তাকাবেন সবাই।

লিফটে ওঠানামার সময়ে কী কী খেয়াল রাখবেন?

১) যতই তাড়া থাক, সারিবদ্ধভাবে উঠুন। ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি সৌজন্যবোধের পরিচয় নয়।

২) শিষ্টাচার মানতেই হবে। আপনার সামনে যদি কোনো বয়স্ক বা অসুস্থ কেউ থাকেন, তাকে আগে উঠতে দিন। সম্ভব হলে সাহায্য করুন। তিনি কত তলায় যাবেন জেনে নিয়ে তার জন্যও বোতামটি আপনিই টিপে দিন। আপনার মানবিক আচরণ দেখেই বাকিরা শিখবে।

৩) লিফটে কাঙ্ক্ষিত তলায় যাওয়ার সময়ে বোতামে চাপ দিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। বরং ভেতরের দিকে চলে যান। বাকিদেরও ওঠার সুবিধা করে দিন।

৪) লিফট থামলে বাকিদের নামার জায়গা করে দিন। আপনি হয়তো সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, পেছনের লোকজন নামতে গেলে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। বরং একটু সরে দাঁড়ালেই বাকিরা নামতে পারেন। আপনিই বরং সুযোগ করে দিন হাসিমুখে।

৫) জুতায় ময়লা থাকলে লিফটে ওঠার আগেই মুছে নিন।

৬) লিফটে ময়লা ফেলবেন না। কাগজের টুকরোও নয়।

৭) লিফটে দাঁড়িয়ে খাওয়া দাওয়া করা ঠিক নয়।

৮) পরিচিত কেউ আপনার সঙ্গে যাবেন, সেই অপেক্ষায় লিফট দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। অনেকেই এই আচরণ করেন। লিফটের দরজায় পা দিয়ে রাখেন যাতে দরজা বন্ধ না হয়। এই আচরণ শিষ্টাচারের পরিচয় দেয় না। আপনি বরং পরে তার সঙ্গে উঠুন।

৯) লিফটে উচ্চস্বরে কথা বলা, অডিও বা ভিডিও চালানো উচিত নয়।

১০) কর্মস্থলে লিফটে হুড়োহুড়ি করে উঠবেন না। তাড়া সবারই আছে। ঘেঁষাঘেঁষি করে লিফটে উঠে পড়া ঠিক নয়।

১১) হাসপাতালে গেলে সেখানে অসুস্থ ব্যক্তি বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে লিফটে ওঠার সুযোগ করে দিন। অন্তঃসত্ত্বাদের জায়গা ছেড়ে দিন।

জেডএস