বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কেবল নারীদেরই নয়, ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে পুরুষেরও। এর ফলে একটা সময় বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে। তবে যত্নশীল হলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। পুরুষের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে পুরুষের করণীয় সম্পর্কে-

নিয়ন্ত্রিত ওজন

পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বজায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর ওজন। কারণ এক্ষেত্রে ওজন অনেক কম কিংবা বেশি হলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এই দুই সমস্যাই হরমোন উৎপাদন এবং শুক্রাণুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও থাকতে হবে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করুন

ধূমপান কিংবা অ্যালকোহল কোনোটিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। বরং এগুলো নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলো ত্যাগ না করলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা হ্রাস করতে পারে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা যত দ্রুত সম্ভব বাদ দিতে হবে।

স্ট্রেস দূর করুন

স্ট্রেস তো আর বলে-কয়ে আসে না। নানা চাপে, নানা পরিস্থিতিতে তৈরি হতে পারে স্ট্রেস। তবে তা দূর করার উপায়ও জানতে হবে। কারণ স্ট্রেস চলতে থাকলে একটা সময় তা শরীর ও মনের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে এটি প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ স্ট্রেসের ফলে শুক্রাণু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোতে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই স্ট্রেস দূর করার জন্য সহায়ক কাজগুলো বেছে নিন।

তাপের এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন

অত্যধিক তাপ শুক্রাণু উৎপাদনকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করে এমন সব জিনিস এড়িয়ে চলুন। অনেকেরই কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করার অভ্যাস। এমনটা করা যাবে না। এছাড়া আঁটসাঁট অন্তর্বাস এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এ ধরনের অন্তর্বাস অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।

এইচএন