তীব্র গরমের সময়ে পান্তাভাত লবণ-মরিচ ও আলু ভর্তা-পেঁয়াজ দিয়ে মেখে মুখে তোলা যে কী ভীষণ রকমের সুখ, তা যারা না খেয়েছেন তারা কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না। প্রায় প্রতিটি ঘরে সকালে এই পান্তাত ভাত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আর সেই পান্তাভাতকেই কি না ‘অখাদ্য’ তকমা দিলো টেস্ট অ্যাটলাস নামে একটি অনলাইন গাইড। কিন্তু এতে চুপ থাকেননি পান্তাভাতপ্রেমীরা। তারাও এর গুণাগুণসহ নানা দিক তুলে ধরেন। 

বিশ্বের নানান প্রান্তের খাবারের অনলাইন গাইড হিসেবে কাজ করে টেস্ট অ্যাটলাস। যা খাঁটি রেসিপি, খাদ্য সমালোচন-পর্যালোচনা করে। নানা এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, রেস্তোরাঁকে তুলে ধরে। এটি একটি ইন্টারেক্টিভ গ্লোবাল ফুড ম্যাপ। ১০ হাজারেরও বেশি খাবার তুলে ধরা হয়েছে এখানে, আছে ৯ হাজারের ওপর রেস্তোরাঁ।

এই টেস্ট অ্যাটলাস সম্প্রতি সেরা ও অখাদ্য খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আর তাতেই নাম রয়েছে বাঙালির প্রিয় ‘পান্তাভাতের’। আর সেই তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।  টেস্ট অ্যাটলাসের এই রিপোর্ট মানতে নারাজ অনেকেই। এই নিয়ে  টেস্ট অ্যাটলাসকে কম রোষের মুখে পড়তে হয়নি।

তবে শুধু পান্তাভাতই নয়,  টেস্ট অ্যাটলাসের ‘অখাদ্য’ খাবারের তালিকায় জায়গা পেয়েছে একাধিক খাবার। রয়েছে— আলু-বেগুন, উপমা ও মালপোয়াসহ আরও অনেক খাবারের নাম।

মধ্যবিত্তের ভরসা এই পান্তাভাতকে অখাদ্য বলা নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ পান্তাভাতের উপকারিতা কিন্তু নেহাতই কম নয়।

পান্তাভাতে রয়েছে আয়রন, যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়। মাত্র একশগ্রাম পান্তাভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। যার কাজ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখা। গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। ফলে পান্তাভাত শরীর কমাতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খাবার। পান্তা ভাত খেলে কাজের এনার্জি বেড়ে যায় বহুগুণ।

এমএ