সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে থাকবে মান-অভিমান কিংবা ভুল বোঝাবুঝিও। ভালোবাসার এই অংশকে মেনে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাই। কিন্তু মাঝে মাঝে হওয়া এক কথা আর ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকা আরেক কথা। একে অন্যকে বুঝতে না পারলে সেই সম্পর্ক থেকে আর কী-ই বা পাওয়ার থাকে? 

আমরা বেশিরভাগই মনে করি যে, মুখে না বললেও অপরপক্ষ ঠিকই বুঝে নেবে। কিন্তু আমরা নিজের মনের কথাই কি সব বুঝতে পারি? সেখানে আরেকজনকে না বলতেই সে বুঝে নেবে, এমনটাই আশা করাই বোকামি। কেউ কেউ আবার বলতে চেয়েও নিজের কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না। যে কারণে বাড়তে থাকে ভুল বোঝাবুঝি। এছাড়াও ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পাওয়ার আছে আরও কিছু কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সমালোচনা করা

সঙ্গী মানে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সঙ্গী মানে যিনি আপনার সঙ্গে আছেন, আপনার সুখ ও দুঃখের অংশীদার। তাই তার ভুলগুলোর সমালোচনা করা বন্ধ করুন। এর বদলে কোথায় তার ভুল হচ্ছে তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি অনবরত তাকে আক্রমণ করে কথা বলতে থাকেন তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার কাছ থেকে সম্মান আশা করতে পারবেন না। তাই অপরপক্ষ থেকে ভালোবাসা পেতে চাইলে তাকেও ভালোবাসা ও সম্মান জানানো জরুরি। যদি চান সে আপনাকে বুঝুক, তাহলে তাকেও বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

দোষারোপ

নিজে দোষ থেকে বাঁচতে সঙ্গীকে দোষারোপ করেন? যেকোনো ভুলের দায় তার কাঁধে ঠেলে দেন? এমনটা করতে থাকলে নিজেকে হয়তো সাময়িক কিছু ঝামেলা থেকে রক্ষা করতে পারবেন কিন্তু আপনাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। তাই দোষারোপ বন্ধ করুন। এমনকী যদি সে সত্যিই দোষ করেও থাকে তবে তাকে শোধরানোর জন্য বুঝিয়ে বলুন। এক্ষেত্রে আপনার দোষারোপ করার অভ্যাস থাকলে তা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবেই।

অবহেলা

ভালোবাসার যেমন নিজস্ব সৌন্দর্য আছে, চাইলে তা লুকিয়ে রাখা যায় না, তেমনই অবহেলারও আছে নিজস্ব রূপ। আপনি মুখে একটা কথা না বললেও সে কিন্তু ঠিকই বুঝে যাবে যদি তাকে অবহেলা করেন। আপনার অবহেলা ধীরে ধীরে তাকে বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। যদি তার প্রতি আপনার কোনো ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকেও তাহলে তা সে বুঝতে পারবে না, এটাই স্বাভাবিক। মনে রাখবেন, ভালোবাসা আর অবহেলা কখনো একসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না।

এইচএন