গ্রীষ্মের রসালো ফলের সমাহার তো শেষ হয়ে এলো। এদিকে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে। এসময়ের ফল মানেই তো পেয়ারা। সবুজ রঙের এই ফল বেশ সুস্বাদু আর সেইসঙ্গে পুষ্টিকরও। ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস এই পেয়ারা। শুধু তাই নয়, এতে থাকা অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শরীরের নানাভাবে উপকার করে। বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে পেয়ারা। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেয়ার খাওয়ার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

হজমে সাহায্য করে

সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমের বিকল্প নেই। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে উপকারী ফল পেয়ারা। কারণ এতে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। যে কারণে পেয়ারা খেলে হজম ভালো হয়। এখানেই শেষ নয়, পেয়ারায় ক্যালোরি থাকে কম। যে কারণে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও একটি সহায়ক ফল হতে পারে পেয়ারা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের খাবারের ক্ষেত্রে নানা বিধি-নিষেধ চলে আসে। অনেক ধরনের ফল খেতেও তাদের নিষেধ করা হয়। তবে পেয়ারা সেই দলে নেই। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যও বেশ উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম। যে কারণে এটি খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিসও।

মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী

আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে পেয়ারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ পেয়ারা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। এই ফলে ভিটামিন সি ছাড়াও থাকে ভিটামিন বি ৩ এবং ভিটামিন বি ৬। এগুলো আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণেও দারুণভাবে কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে পেয়ারা। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি এই কাজে বিশেষ কার্যকরী। পেয়ারায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বককে বলিরেখা থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়ও পেয়ারা বেশ উপকারী। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।

এইচএন