দুধ উপকারী খাবার এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি এবং বি ১২ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, যা দুধকে সুষম খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তোলে। দুধের পুষ্টির প্রোফাইল বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যা এটিকে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি উপকারী করে তোলে। আসুন দুধের পুষ্টি বাড়ানোর কিছু সেরা উপায় জেনে নেওয়া যাক-

ভিটামিন এবং খনিজ

দুধের পুষ্টিগুণ বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ফোর্টিফিকেশন। ফোর্টিফাইড দুধ অতিরিক্ত ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা সাধারণ দুধে পর্যাপ্ত নাও থাকতে পারে। এর মধ্যে পরিচিত উপাদানগুলো হলো-

ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, দুধে ভিটামিন ডি যোগ করলে তা ঘাটতি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

এই প্রয়োজনীয় চর্বি হৃদরোগ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ওমেগা -৩ সমৃদ্ধ দুধ খেলে তা এই উপকারী ফ্যাট আপনার শরীরে সহজে পৌঁছে দেয়।

প্রোবায়োটিকস

দুধে প্রোবায়োটিক যোগ করলে তা হজমের সুবিধা বাড়াতে পারে। প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক্ষেত্রে দই বেশ উপকারী খাবার হিসেবে কাজ করে

সুপারফুডের সঙ্গে মেশান

সুপারফুড হলো পুষ্টি-ঘন খাবার যা যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। সুপারফুডের সঙ্গে দুধের মিশ্রণ উল্লেখযোগ্যভাবে এর পুষ্টির মান বাড়িয়ে তুলতে পারে। দুধের সঙ্গে এই সুপারফুডগুলো মেশাতে পারেন-

হলুদ

হলুদ এর প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। গরম দুধে এক চিমটি হলুদ যোগ করলে একটি শক্তিশালী পানীয় তৈরি হয় যাকে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়। এটি স্বাস্থ্য, হজম এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী।

চিয়া সীড

ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ চিয়া সীড সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয়। পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করতে চিয়া সীড দুধের সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে। এই বীজের তরল খাবারকে ঘন করার অনন্য ক্ষমতা রয়েছে, যা পুডিং এবং স্মুদির জন্য উপযুক্ত হিসেবে কাজ করে।

এইচএন