সর্দি-কাশি এত বেশি পরিচিত সমস্যা যে এতে না ভুগেছেন এমন মানুষ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কেবল বর্ষাকালেই নয়, বরং প্রায় সারা বছর ধরেই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। কারণ ওষুধ খেতে থাকলে একটা সময় তা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপাদানই নিরাপদ।

আমাদের রান্নাঘরেই এমন অনেক উপাদান আছে যা বিভিন্ন অসুখ থেকে আমাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে। যেমন ধরুন আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করার জন্য রান্নাঘরের কিছু উপকরণই যথেষ্ট। বিশেষ করে বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও উন্নত করতে এ ধরনের ভেষজ ব্যবহার করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দূর করতে কোন উপকরণগুলো ব্যবহার করবেন-

আদা

কাশি হলে আদা চা পান করার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? এটি কিন্তু এমনি এমনি করা হয় না। বরং এর পেছনে আছে অনেকগুলো কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ভেষজ। উপকারী এই মসলার রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে কারণে নিয়মিত আদা চা পান করলে সর্দি-কাশি দূর করা সহজ হয়। আবার আদা কুচি করে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

হলুদ

হলুদের উপকারিতার কথা কে না জানে! বিশেষ করে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা সারাতে এটি বেশ কার্যকরী। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। কারণ উপকারী এই মসলার আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। যে কারণে এটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।

গোলমরিচ

বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ঝাল স্বাদের জন্য গোল মরিচ ব্যবহার করা হয়। তবে কেবল স্বাদই নয়, এতে থাকে নানা পুষ্টি উপাদানও। বর্ষার সময়টাতে বিভিন্ন ধরনের রোগ দূরে রাখতে কাজ করে এই মসলা। এসময় সর্দি-কাশি হলে গোলমরিচ খেলে মিলবে উপকার। কয়েকটি গোলমরিচ ও সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এর সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাবেন। এভাবে নিয়ম মেনে খেলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা আর যখন তখন দেখা দেবে না।

এইচএন