বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বৃষ্টির পরশে চারপাশের সবুজ যেন আরও বেশি মায়াময় হয়ে ওঠে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, মুদ্রার উল্টো পিঠের চিত্রও আছে। এই ঋতুতেই সবচেয়ে বেশি অসুখের ভয় থাকে। এসময় নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে কিছু চা এক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় সুস্থ থাকতে কোন চা পান করলে বেশি উপকার পাবেন-

লেবু চা

চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খাওয়া হয় নিশ্চয়ই? কেবল বর্ষাকালেই নয়, বরং বছরের অন্যান্য সময়েও লেবু চা পান করলে নিজেকে সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এই চা আপানকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি দূরে রাখবে অনেক অসুখ থেকেও। লেবু চা পান করলে আপনি অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন

আদা চা

বলুন তো সবচেয়ে বেশি সর্দি কাশির সমস্যায় মানুষ কখন ভোগেন? এর উত্তর সবারই জানা, সেটি হলো বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালেই সর্দি এবং কাশির মতো সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। এসময় আদা চায়ের মতো পানীয় আপনার জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে। তবে শুধু সর্দি-কাশির মতো সমস্যা নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে আদা চা। কারণ আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

এলাচ চা

এলাচের সুগন্ধ আপনার রান্নাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এর তৈরি চা-ও যে ভীষণ উপকারী, সেকথা কি জানতেন? আপনি যদি নিয়মিত এলাচ চা তৈরি করে খান তাহলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এলাচ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। বর্ষাকালে এই চা বেশি উপকারী। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের ফলে যেসব অসুস্থতা দেখা দেয় তা সারাতে কাজ করে এলাচ চা।

তুলসী চা

তুলসী পাতার রয়েছে অনেক গুণ। বিশেষ করে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা সারাতে এই চায়ের বিকল্প খুব কমই আছে। বুকে কফ জমে থাকলে নিয়মিত তুলসী চা খেলেই মিলবে সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ। তুলসী পাতার  অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে কারণে বছরের অন্যান্য সময়ে তো বটেই, বর্ষাকালেও এটি বিশেষভাবে উপকার করে। তাই এই বর্ষায় সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত তুলসী চা পান করার অভ্যাস করুন।

এইচএন