মাসিক চক্র জুড়ে হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। পিরিয়ডের ঠিক এক বা দুই সপ্তাহ আগে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, এর ফলে তেল গ্রন্থিগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে। এই অতিরিক্ত তেল মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে এবং ব্রণের সৃষ্টি করে। এই ব্রণ সাধারণত নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে সেজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

স্বাস্থ্যকর খাবার শুধু রোগ প্রতিরোধই করে না, এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্রণ হোক বা প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম (PMS)-জনিত ব্রণ হোক, শাক-সবজি, ফলমূল, দানাশস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার উপশম দিতে পারে। সেইসঙ্গে চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অ্যালকোহলের মতো খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত ব্যায়াম

ব্যায়াম নিজেই ব্রণ নিরাময় করে না; তবে এটি ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ওয়ার্কআউট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, শর্করা অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করতে পারে যা তেল উৎপাদন বাড়ায়, ব্রণের একটি প্রধান কারণ। ব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালনকেও উন্নত করে, ত্বকের কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছে দেয় এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

পিরিয়ডের সময় হরমোন ওঠানামা করে। এটি আপনার তেল গ্রন্থিগুলোকে সিবাম অতিরিক্ত উৎপাদন করতে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে ছিদ্র আটকে যায় এবং ব্রণ হয়। ব্রণ তখনই হয় যখন আপনার শরীর চাপের মধ্যে থাকে, কারণ এটি কর্টিসল নিঃসরণ করে, যা হরমোনের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। এর ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্ট্রেস দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশনের মতো কৌশল বেছে নিতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও এক্ষেত্রে জরুরি।

এইচএন