আমাদের জীবনে অনেক প্রাপ্তি যোগ হলেও কোথাও একটা শূন্যতা যেন থেকেই যায়। একের পর এক মন খারাপের বিকেল কাটাই আমরা। কোন ছেলেবেলায় ফেলে আসা আনন্দের দিনগুলোর কথা মনে করে চোখের কোনে পানি জমে। আমরা আনন্দে থাকতে চাই, কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত আনন্দ খুঁজে পাই না। আসলে আনন্দে থাকার জন্য আলাদা কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজই পারে জীবনে আনন্দ নিয়ে আসতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. দিনের শুরুটা হোক কৃতজ্ঞতা দিয়ে

কৃতজ্ঞতা এমন এক জিনিস যা আপনাকে অনাবিল আনন্দ দিতে পারে। একজন কৃতজ্ঞ মানুষ কখনো হতাশ হয় না। দিনের শুরুতেই আপনার ধর্মীয় প্রার্থনা দিয়ে কৃতজ্ঞতা পেশ করুন। যাদের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ তাদের নাম রাখুন প্রার্থনায়। ছোট্ট এই কাজ আপনার শরীরে বাড়িয়ে তুলবে ডোপামিনের মাত্রা। এই হরমোন আমাদের সুখী ও শক্তিশালী অনুভূতি দেয়।

২. সকালে হাঁটার অভ্যাস করুন

প্রতিদিন সকালে অন্তত বিশ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এর ফলে পরিবর্তন আপনি নিজে দেখতে পাবেন। মানুষ যখন কোনো ব্যায়াম করে তখন তার শরীর এন্ডোরফিল নিঃসরণ করে। এই হরমোনও আমাদের সুখী করতে কাজ করে। অল্প কিছুক্ষণ হাঁটাচলাও আপনাকে খুশি রাখতে পারে। এছাড়া হাঁটার কারণে শারীরিক অনেক সুবিধাও পাওয়া সম্ভব।

৩. সকালের রোদ গায়ে মাখুন

রাতে আগে ঘুমাতে যাবেন এবং খুব সকালে ঘুম থেকে জাগবেন। এই অভ্যাস আপনার জীবন থেকে অনেক অশান্তি দূর করে দেবে। সকালের রোদ নিয়ম করে গায়ে মাখবেন। এই অভ্যাস শরীরকে সেরোটোনিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই হরমোন সুস্থতা এবং সুখের অনুভূতি দেয়। যে কারণে প্রতিদিন সকালের রোদে অন্তত ১৫ মিনিট বসা উচিত।

৪. গভীর নিঃশ্বাস নিন

এই ছোট্ট কাজ আপনাকে অনেক অশান্তি, অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণ দেবে। গভীর নিঃশ্বাস বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। মানসিক চাপ দূর করতে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন। এভাবে কিছুক্ষণ পরপর কয়েকবার শ্বাস নিন। এতে আপনার মনে প্রশান্তি পাবেন। শরীরে সুখী হরমোনের নিঃসরণ আরও বাড়বে।

৫. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

আনন্দের অনুভূতির পেছনে আমাদের খাবারের তালিকারও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে। আপনার খাবারের তালিকায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার যোগবার করুন। চর্বিযুক্ত মাছ, বীজ এবং বাদাম জাতীয় খাবারে এই উপাদান মিলবে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেইসঙ্গে এটি বিষণ্ণতা কাটিয়ে আপনাকে আনন্দিত হতে সাহায্য করবে।

এইচএন