আমাদের অজান্তেই কখন চোখের কাছে হাত চলে যায় তা আমরা নিজেরাও জানি না। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের যখন-তখন চোখ চুলকানোর অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্যাসে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই তবে তা কি স্বাস্থ্যকর? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখ চুলকালে সেখানে হাত না দেওয়াই ভালো। কারণ এই সাধারণ অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ। চোখ সুস্থ রাখতে চাইলে এ ধরনের অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

বারবার চোখ ঘষলে আমাদের চোখের পাতার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে অনেক সময় চোখের পাতা ঝুলে যেতে পারে। এরকমটা ঘটলে তখন কিন্তু এক চোখ অন্য চোখের থেকে দেখতে ছোট লাগতে পারে। আপনি হয়তো চোখ চুলকানোর কারণে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কিন্তু পরবর্তীতে তা লালচে চোখের কারণ হতে পারে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা।

বারবার চোখ ঘষতে থাকলে কিন্তু চোখের চারপাশে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এখানেই শেষ নয়, আমাদের চোখের সাদা অংশে যে লাল রক্তনালীগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠতে দেখা যায়, সেগুলোও হয় চোখ ঘষার কারণে। আপনার যদি অতিরিক্ত চোখ ঘষার অভ্যাস থাকে তবে তা কর্নিয়ার আকার বদলে ‘কেরাটোকানাস’ নামক দৃষ্টি জনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

অনেক সময় হঠাৎ করে চোখে সমস্যা দেখা দিলে আমরা হাত পরিষ্কার না করেই চোখ ঘষতে শুরু করে দিই। যে কারণে আমাদের হাতের সব ময়লা সরাসরি চোখে চলে যায়। তাই চোখ ঘষলে চোখের সমস্যা তো কমেই না, বরং আরও বেড়ে যায়। তাই সার্জারি হলে তারপর চোখে হাত দিতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা।

চোখ চুলকালে করণীয়

চোখ নানা কারণে চুলকাতেই পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। চোখে চুলকানির সমস্যা হলে সেই ড্রপ ব্যবহার করবেন। এছাড়া এ ধরনের সমস্যায় চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেবেন। এতে চোখে ধুলোবালি জমলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে সহজেই। চোখ থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যা হলে সুতির নরম ও পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করে তা দিয়ে মুছে ফেলুন। চোখে সরাসরি হাত দেবেন না।

এইচএন