নিজেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে সবাই চায়। সেজন্য ত্বক, চুল থেকে পোশাকের বিশেষ যত্ন নেয়। আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকে পারফিউম এবং ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করে। এটা মূলত, ঘামের গন্ধ দূর করতে এবং আপনাকে সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের সময় তো অনেকে দিনে ৩-৪ বার পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করে। দুটির ব্যবহার একই হলেও জিনিস দুটির পার্থক্য রয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে, এই দুটির মধ্যে পার্থক্য কী এবং কীভাবে তাদের ব্যবহার করা উচিত?

পারফিউম এবং ডিওডোরেন্টের পার্থক্য কী?

পারফিউমে ১৫-৩০ শতাংশ অপরিহার্য তেল থাকে, যা এটির গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করে। আর ডিওডোরেন্টে অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের পরিমাণ থাকে ১-২ শতাংশ। তাই পারফিউমের গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে। তবে ডিওডোরেন্টে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং সুগন্ধি থাকে যা ঘামের গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সুগন্ধির দিক থেকে, পারফিউমগুলো ডিওডোরেন্টের চেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। ডিওডোরেন্টের সুগন্ধ সাধারণত ৪ ঘণ্টা স্থায়ী হলে পারফিউমের সুগন্ধ প্রায় ১২ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। তবে এটি কীভাবে প্রয়োগ করা হয় তার ওপরও নির্ভর করে।

পারফিউম এবং ডিওডোরেন্ট কীভাবে ব্যবহার করবেন?

পারফিউম এবং ডিওডোরেন্ট উভয়ের কাজ হলো সুগন্ধ ছড়ানো। কিন্তু এগুলো প্রয়োগের পদ্ধতিতে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পারফিউমে প্রচুর পরিমাণে ঘনত্ব থাকে এবং সরাসরি ত্বকে এটির ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি সবসময় শুধুমাত্র কাপড়ের ওপর প্রয়োগ করা উচিত।

আর যেসব জায়গায় অতিরিক্ত ঘাম হয় যেমন আন্ডারআর্মে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা উচিত। আপনি যদি কোনও পাবলিক এলাকায় থাকেন তাহলে ঘামের গন্ধ আপনাকে এবং সেখানে উপস্থিত লোকজনকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তাই, আপনার এই সময় ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা উচিত।

পারফিউম এবং ডিওডোরেন্টের দামেও পার্থক্য দেখা যায়। কম দামেও ডিওডোরেন্ট পেতে পারেন। কিন্তু, পারফিউমের দাম বেশি। তবে বাজারে অনেক কম দামের পারফিউমও পাওয়া যায়।

এসএম