পেটে কোনো না কোনো সমস্যায় আমরা প্রায়ই ভুগে থাকি। কখনো পেট ফাঁপা তো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য। একেক সময় লেগে থাকে একেক সমস্যা। এর নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আমাদের খাবারই। তাই সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু কী খাচ্ছেন তাই নয়, কীভাবে খাচ্ছেন সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও ভিন্ন ভিন্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের সমস্যা কীভাবে ঠিক করবেন-

১. পেট ফাঁপা

পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকরের মতে, পেট ফাঁপা দুটি উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে। প্রথমত, খাবার খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া। এভাবে চিবিয়ে খেলে তা দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং খাবারের স্থবিরতা প্রতিরোধ করে। দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া। এভাবে খাবার খেলে তা পেট ফাঁপা প্রতিরোধে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন তা হলো, খাবারের মাঝখানে খুব বেশি পানি পান করবেন না। বেশি তৃষ্ণা পেলে অল্প এক ঢোক পান করতে পারেন, তবে বেশি নয়। খাবারের মাঝে পানি বেশি পান করলে তা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে এবং হজমের উন্নতি করতে, প্রতিবেলায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা উচিত। এটি সহজেই মলত্যাগ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, প্রতিদিন কমপক্ষে তিন লিটার পানি পান করতে ভুলবেন না। এভাবে নিয়ম মেনে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো সম্ভব হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যকে ছোট সমস্যা মনে করে কখনো অবহেলা করবেন না। কারণ এটি শুরুতেই দূর করা না হলে পরবর্তীতে আরও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

৩. অ্যাসিডিটি

আপনার খাওয়া এবং ঘুমের সময়সূচী অসময়ে থাকলে সার্কাডিয়ান রিদমে গোলমাল হয়ে যাবে। পুষ্টিবিদ সুধাকর পরামর্শ দেন যে আপনার সার্কেডিয়ান রিদম ঠিক করার জন্য আপনাকে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে দিনের সব খাবার খাওয়া উচিত। এরপর রাত দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঘুমের জন্য রাখা উচিত। এভাবে অভ্যাস করলে বদহজম, অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হবে সহজেই। আর খাবারের ক্ষেত্রে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

এইচএন