চুলের যত্নে  প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। মধু এবং কলার হেয়ারপ্যাক এক্ষেত্রে বেশ উপকারী। ভিটামিন, খনিজ এবং প্রাকৃতিক এনজাইম সমৃদ্ধ এই দুই উপাদান শুধুমাত্র চুলের বৃদ্ধিই নয় বরং চুলকে রেশম ও উজ্জ্বলও করে। তাই আপনার চুলের নিয়মিত যত্নে এই দুই উপকারী উপাদান যুক্ত করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে মধু ও কলা ব্যবহার করলে কী উপকার পাবেন-

মধুর উপকারিতা

মধু প্রকৃতির অমৃত হিসাবে পরিচিত। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। মধু হিউমেক্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে, যা চুলের মধ্যে আর্দ্রতা টেনে এবং তা আটকে রাখে। হিউমেক্ট্যান্ট বাতাস থেকে বা ত্বকের গভীর থেকে পানিকে আকর্ষণ করে। এতে ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা চুলের ফলিকল মসৃণ করে। এর ফলে চুল চকচকে ও নরম হয়। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ফলে স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প বজায় রাখা সহজ হয়ে যায়।

কলার উপকারিতা

গবেষণা অনুসারে, কলা পটাসিয়াম, প্রাকৃতিক তেল, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস। এই পুষ্টিগুলো চুলকে নরম করে এবং এর প্রাকৃতিক স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে, সেইসঙ্গে চুলের আগা ফেটে যাওয়া এবং ভঙুরতা রোধ করে। কলায় সিলিকাও থাকে, যা চুল মজবুত করে এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কলা মধুর হেয়ার মাস্ক যেভাবে তৈরি করবেন

তৈরি করতে যা লাগবে

১টি পাকা কলা

২ টেবিল চামচ মধু

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল।

যেভাবে তৈরি করবেন

কলার খোসা ছাড়িয়ে একটি পাত্রে ভালো করে ম্যাশ করুন যতক্ষণ না এটি একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি হয়। কলায় যেন কোনো দলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ দলা থাকলে তা চুলে আটকে থাকতে পারে। এবার ম্যাশ করা কলায় মধু যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। আপনি যদি অলিভ অয়েল  ব্যবহার করেন তবে এই পর্যায়ে সেটি যোগ করুন। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত পুষ্টি এবং উজ্জ্বলতা যোগ করবে, যা হেয়ার মাস্কটিকে আরও কার্যকরী করে তুলবে। তৈরি হয়ে গেলে চুল ও স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মেখে অপেক্ষা করুন ঘণ্টাখানেক। এরপর ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করতে চাইলে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু বেছে নেবেন।

এইচএন