বাড়তি ভুঁড়ি মানে বাড়তি দুশ্চিন্তা। কারণ এটি বাহ্যিক সৌন্দর্য কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। বাড়তি ভুঁড়ির কারণে দেখা দিতে পারে হাঁটু ব্যথা, প্রেশার,  ডায়েবেটিস, কোমর ব্যথার মতো সমস্যা। সেইসঙ্গে ভয় থাকে নিদ্রহীনতা, শ্বাসকষ্ট, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠার মতো সমস্যারও। তাই ভুঁড়ি দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে।

আমরা প্রতিদিন যতটুকু খাবার খাই, আমাদের শরীর সেখান থেকেই শক্তি পায়। কিন্তু না জেনে আমরা বেশিরভাগ সময়ে খেয়ে ফেলি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। আবার বেশিরভাগ সময় বসে থাকার কারণে শারীরিক পরিশ্রমও হয় না তেমন। ফলে অতিরিক্ত খাবার ফ্যাট কিংবা গ্লুকোজের আকারে জমা হয় শরীরে। একবার ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলে তা দূর করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে ভুঁড়ির সমস্যার সমাধান অনেকটা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু উপায়-

নিয়মিত শরীরচর্চা

বাড়তি ভুঁড়ির বোঝা কেউ বহন করতে চান না। এদিকে অলস সময় কাটাতে কিংবা মুখরোচক সব খাবার খেতেও ইচ্ছে হয়, যে কাজগুলো ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্য অনেকটাই দায়ী। তাই ভুঁড়িবিহীন সুস্থ শরীর পেতে পরিমিত খাবার খেতে হবে, করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা।

ঘরে তৈরি খাবার

বাইরের খাবার যত সুস্বাদুই মনে হোক, এড়িয়ে চলুন। এর বদলে চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার। এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত মশলাদার কিংবা তেলযুক্ত খাবার। ডুবোতেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, রেড মিট, কোমল পানীয় ইত্যাদি ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্য দায়ী। এসব খাবার বাদ দিন তালিকা থেকে। হালকা নাস্তা হিসেবে সালাদ, ফল, ঝলসানো খাবার, বাদাম, টক দই ইত্যাদি খেতে পারেন।

কতটুকু খাবেন?

অনেকের অভ্যাস হলো একেবারে পেট ভরে খাওয়া। এটি সঠিক অভ্যাস নয়। সব সময় চেষ্টা করুন পেটে জায়গা খালি রেখে খাওয়ার। এতে হজম ভালো হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরি নিয়েও সমস্যায় পড়তে হবে না।

যেসব খাবার খাবেন না

নির্দিষ্ট কিছু খাবারকে ভুঁড়ি বাড়ার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়। সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তিনটি সাদা রঙের খাবার- ভাত, ময়দা ও চিনি এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে পাতে রাখুন ঢেকিছাঁটা লাল চাল। ময়দার বদলে আটার তৈরি রুটি খান। চিনির বদলে গুঁড় অথবা মধু খেতে পারেন।

যে ধরনের খাবার খাবেন

অনেকে ওজন বৃদ্ধির ভয়ে খাবারের তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন না পেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় থাকে। তাই প্রয়োজনীয় প্রোটিন রাখুন খাবারের তালিকায়। মুরগির মাংস, ছোট মাছ, সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। সেইসঙ্গে খাবারের তালিকায় রাখুন মৌসুমী ফল ও বিশুদ্ধ পানি।