দিনের তাড়াহুড়ো থেকে আমরা যখন মুক্ত হই, তখন একটি রুটিন আছে যা বেশিরভাগ সময় উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু আমাদের মুখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেটি হলো রাতে দাঁত ব্রাশ করা। এটি কেবল একটি অভ্যাস নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও সমর্থিত। রাতে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে দাঁত ব্রাশ করলে কী হয়-

আপনি জেনে অবাক হবেন যে সকালের চেয়ে রাতে দাঁত ব্রাশ করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ব্রাশ করার গুরুত্ব মোটেও কম নয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যবিধির একটি অপরিহার্য অংশ, আমাদের দিন শুরু করার আগে গোসল করার সমতুল্য। এটি এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের রুটিনে যুক্ত হয়ে আছে এবং কখনোই এটি বাদ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারি না। কিন্তু তিনটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে যা রাতে দাঁত ব্রাশ করাকে প্রতিদিনের রুটিনে যুক্ত করতে উৎসাহিত করবে।

সালাভা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে। যদিও আমাদের লালা আমাদের মুখের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে, কিন্তু ঘুমের সময় এর উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। লালা উৎপাদনে এই হ্রাস অসাবধানতাবশত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে সহজতর করতে পারে। রাতের বেলা ব্রাশ করলে তা লালা উৎপাদনের হ্রাসের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে কাজ করে। যেহেতু ব্রাশ করার মাধ্যমে আমরা মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নির্মূল করছি, এর ফলে মুখ সারারাত পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর থাকে।

রাতের খাবারের পর শুধু গার্গল করাই যথেষ্ট নয়। মুখ ধুয়ে ফেলা এবং রাতের খাবারের সময় থেকে অবশিষ্ট কণা দূর করার জন্য প্রয়োজন দাঁত ব্রাশ করা। সুতরাং, রাতে আগেভাগে খাবার খাওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং এরপর দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। 

খাওয়ার পরে মুখের ভেতরে লেগে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ ব্যাকটেরিয়াগুলোর জন্য শক্তি সরবরাহ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড তখন দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে। এনামেল আমাদের দাঁতের শক্ত বাইরের স্তর, তখন এই স্তরের ক্ষয় হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষয় গহ্বরে পরিণত হতে পারে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এই গহ্বরগুলো বড় হতে পারে, যা দাঁতের গভীর স্তরকে প্রভাবিত করে। এ ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো প্রতি রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যাওয়া।

এইচএন