পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটি এমন এক অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় অস্বাভাবিক পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন উৎপাদন করে। এর ফলে ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হয়। যে কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড, ব্রণ, স্থূলত্ব এবং খিটখিটে মেজাজের মতো সমস্যা দেখা দেয়। খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল রাখলে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক পিসিওএস থাকলে কোন খাবারগুলো খাবেন না-

গ্লুটেনযুক্ত খাবার

যেসব নারীর পিসিওএস-এর সমস্যা আছে তাদের খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের যতটা সম্ভব গ্লুটেন মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এভাবে মাসখানেক এ ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকলেই পিসিওএস-এর সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

দুগ্ধজাত পণ্য

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার উপকারী এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে একথাও সত্যি যে এ ধরনের খাবার সবার জন্য সমান উপকারী নয় বা সবার পেটে সমানভাবে সহ্যও হয় না। কোনো কোনো রোগের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পিসিওএস তেমনই একটি সমস্যা। এ ধরনের খাবার অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বাড়ায়। তাই পিসিওএস থাকলে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

অতিরিক্ত চিনি

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। আর যদি পিসিওএস-এর সমস্যা থাকে তাহলে চিনি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় চিনি খাওয়া বাদ দিতে পারলে। তা একান্তই সম্ভব না হলে এর পরিমাণের দিকে নজর দিন। অতিরিক্ত চিনি খেলে তা ক্লান্তি ও বাড়তি ওজনের কারণ হতে পারে। যা পিসিওএস-এর সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।

লাল মাংস

লাল মাংস যেমন গরু ও খাসির মাংস পিসিওএস-এ আক্রান্তদের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এ ধরনের সমস্যা থাকলে গরু ও খাসির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে খেতে হবে মাছ বা মুরগির মাংস। এতে শরীরে প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পর্যাপ্ত পৌঁছাবে। তাই যতই পছন্দ হোক, লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যদি আপনার পিসিওএস থাকে।

এইচএন