অ্যাসিড রিফ্লাক্স, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) নামেও পরিচিত। পাকস্থলীর অ্যাসিড অন্ননালীতে প্রবাহিত হলে এটি ঘটে। ফলে অস্বস্তি এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন খাবার সম্পর্কে-

১. ওটমিল

যারা অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ভুগছেন তাদের জন্য ওটমিল সকালের নাস্তা হিসেবে দুর্দান্ত হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা পাকস্থলীর অ্যাসিড শোষণ করতে এবং উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, যা অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে এবং রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা কমায়।

২. আদা

আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং বহু শতাব্দী ধরে হজমের সমস্যার চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার খাবারে সতেজ আদা যোগ করুন বা আদা চা পান করুন। এই অভ্যাস পেটকে প্রশমিত করতে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করবে।

৩. কলা

কলা হলো কম অ্যাসিডযুক্ত ফল যা খাদ্যনালীতে আবরণ দিয়ে পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড রয়েছে। সেইসঙ্গে কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করে।

৪. সবুজ শাক-সবজি

ব্রকলি, অ্যাসপারাগাস, মটরশুটি এবং পালং শাকের মতো সবুজ শাক-সবজিতে ফ্যাট এবং চিনি কম থাকে, যা এসিড রিফ্লাক্সে আক্রান্তদের জন্য বেশ উপকারী। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৫. তরমুজ

তরমুজের অম্লতা কম এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি হাইড্রেটিং। যে কারণে তরমুজ খেলে তা পানিশূন্যতা রোধেও কাজ করে। ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস হলো তরমুজ। তাই তরমুজের মৌসুমে নিয়মিত এই ফল খেলে উপকার পাবেন।

এইচএন