চিয়া সিডের অনেক গুণ, কিন্তু যারা ভুলেও খাবেন না
ওজন কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে চিয়া সিড। পুষ্টিবিদরাও এই সিড পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু চিয়া সিড খাওয়ার পরই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। তাহলে চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়?
চিয়া সিডের মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এই দানা ওজন কমানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরল ও রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তবু, এই বীজ সবার জন্য ভালো নয়।
বিজ্ঞাপন
অত্যধিক পরিমাণে চিয়া সিড খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। চিয়া সিডের উচ্চ পরিমাণ ফাইবার পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে। বদহজম, গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার যদি কোনও অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো। চিয়া সিড খেলে অনেক সময় ডায়ারিয়া, বমি ও চুলকানির মতো প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।
চিয়া সিডের মধ্যে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। আবার এই উপাদানই প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খাবেন না।
চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তকে পাতলা করে দেয়। দেহের কোনও অংশ কেটে গেলে রক্তপাত থামবেই না। সেক্ষেত্রে চিয়া সিড থেকে দূরে থাকুন। এমনকি যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও এই চিয়া সিড এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এই বীজ যে কোনো সময় প্রেশার কমিয়ে দিতে পারে।
ওজন কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে চিয়া সিড। কিন্তু পরিমাণ বুঝে চিয়া সিড না খেলে ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করলে। ২ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে প্রায় ১৩৮ ক্যালোরি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে এক থেকে দেড় চামচ চিয়া সিড খাওয়া যায়। পানিতে ভিজিয়ে কিংবা দুধ ও দইয়ে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। মনে রাখবেন, মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খেলেই কিন্তু বিপদ।
কেএ