দোকানের মতো টক দই বানান এই ৪ উপায়ে
গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে লেবুর শরবত, নারকেলের পানি, দই, তরমুজ, আমের জুস, পান্তা ভাত, ছাতুর শরবতসহ আরও অনেক কিছু। তবে সব থেকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হলো টক দই। শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে, ডিহাইড্রেশন রুখতে, পেট ঠান্ডা রাখতে ও হজমশক্তি বাড়াতে টক দই খাওয়া উচিত।
টক দইয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম। তাই গরমকালে শরীর ও মনকে ঠান্ডা রাখতে হাড়কেও মজবুত রাখতে এটি সাহায্য করে। এছাড়া গরমের সময় দই খেতে পছন্দ করেন অনেকেই।
বিজ্ঞাপন
অনেকে টক দই খেতে পারেন না, সেক্ষেত্রে বাটার মিল্ক, লাচ্ছিও পান করা স্বাস্থ্যকর। দোকানের থেকে টক দই কেনার পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতেই বানান এটি। এখন অতিরিক্ত গরম পড়ায় বাজার থেকে টক দইয়ের চাহিদা বেশি। তাই উচ্চদামে না কিনে কয়েকটি উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন দোকানের মতো টক দই।
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত তাপ বাড়ায় এই সময় দুধের মধ্যে একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যার ফলে দইয়ের স্বাদটাই বদলে যায়। দই জমে টক হতে শুরু করে। বাড়িতে টক দই বানাতে হলে সেই দই জমে কম, আবার খুব বেশি টকও হয়ে যায়। তবে দোকানের মতো জমাট ও খুব বেশি টক নয়, এমন সুস্বাদু দই বানাতে হলে সবচেয়ে সহজ কিছু উপায় নিম্নরূপ—
দই যাতে টক না হয়, তার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুধে দই যোগ করার আগে, ছোট বাটিতে অল্প দুধ ও সাজা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দুধে দই যোগ করার সময়, চুলার আগুন কমিয়ে বা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এরপর দই না হওয়া পর্যন্ত দুধ ফেটিয়ে নিতে হবে।
দিনের বেলা কখনো দই তৈরি করবেন না। সব সময় রাতে দই বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তাপমাত্রা কম হলে টক দই পাতা যাবে না। দই পাতা হয়ে গেলে কখনো বারবার দইয়ের পাত্র খুলে দেখবেন না।
বারবার দই খুলে দেখলে দই ঠিক করে জমাট বাঁধে না। সারারাত জমাট বাঁধার পর সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
যদি চান বাড়িতে সেটা করার সময় স্বাদে টক না হয় তার জন্য দুধের ওপর থেকে সরটি তুলে নিতে হবে। তাতে টক ভাব কমে যায়। সুতির বা মসলিনের কাপড়ে টক দই সারারাত রেখে একটি চালুনিতে ছেঁকে রাখতে পারেন। তাতে অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে। দইয়ে থাকা দুধের ঘনত্ব বেড়ে গেলে জমাট ও ঘন হয়ে যায়।
গরম জায়গায় দই রেখে দিলে দই দ্রুত টক হতে শুরু করবে। দই সবসময় ঘরের তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য ঠান্ডা জায়গায় বা ফ্রিজে রাখা উচিত। দইয়ের পাত্র মাটির পাত্রের ভেতর বা এসি বা কুলারের ঘরেও রাখতে পারেন।
এমএ