প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়। এই দিবস তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ধূমপান ত্যাগ করতে লোকেদের উৎসাহিত করার জন্য পালন করা হয়। প্রতি বছর এই অভ্যাস মোকাবিলা করার জন্য নতুন কৌশল এবং সমাধান উদ্ভূত হয়। আপনি কি খাবারের সাহায্যে আপনার নিকোটিনের আসক্তিকে কাটিয়ে ওঠার কথা কল্পনা করতে পারেন? আপনার পরিচিত কিছু খাবারই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে সাহায্য করবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পুদিনাপাতা

বিশেষজ্ঞের মতে, পুদিনা পাতার ক্যান্ডি বা টফি আপনাকে তামাক প্রত্যাহার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ধূমপান ছাড়ার পর পুদিনাপাতা প্রয়োজন ছাড়াই মস্তিষ্কের ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তাই ধূমপান ছাড়তে চাইলে এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

২. ফল এবং সবজি

আপনি যখন সিগারেট খান, তখন শরীরের ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ হ্রাস পায় এবং ভিটামিন সি-এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফল এবং শাকসবজির মতো তাজা খাবার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে এবং ধূমপানের আসক্তি থেকে দূরে রাখে। ফুটি, তরমুজ, কমলা ইত্যাদি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো আপনার শরীরে পুষ্টি জোগাবে এবং আপনার নিকোটিনের তৃষ্ণাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে এক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুলতে হবে।

৩. পানি

শুধু নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্যই নয়, ধূমপানের লোভ সামলাতেও পানি পান করা অপরিহার্য। তাই যখনই ধূমপারে ইচ্ছা হবে তখনই এক গ্লাস পানি পান করে নিন। তবে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো ধূমপানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. দুধ

এটি অস্বাভাবিক শোনাতে পারে, তবে দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে তা আপনার সিগারেটের আসক্তি দূর করতে কাজ করতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা বা ধূমপান কমানোর চেষ্টা করার সময় দুধ পান করা বা দই খাওয়া সহায়ক হতে পারে। ২০০৭ সালে ২০৯ জনের ওপর করা এক গবেষণা থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।

এইচএন