গরমকাল মানেই আম, লিচু, কাঁঠাল, জামের সমাহার। আম-লিচুর গন্ধে ম ম করে ওঠে রাস্তাঘাট, বাজার। আর এই মৌসুমি ফল খেলে শরীর থাকে তাজা ও হাইড্রেটেড। গ্রীষ্মের দিনগুলোতে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হওয়ায় শরীর থেকে লবণ ও ইলেক্ট্রোলাইট ক্ষয় হয়। অপর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও লবণের কারণ এই সময় হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় চিকিৎসকরা পানি ও মৌসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

গরমকালে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও পছন্দের ফল হলো আম। এছাড়া লিচুও খুব সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। সুপার হাইড্রেটিং ফল হিসেবে লিচুর সুখ্যাতি যেমন আছে, তেমনি ওজন কমানোর ডায়েটের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।

লিচু খেলেও ওজন কমে। এর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা কী কী, জেনে নিন…

>> গরমকালে মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে লিচু হলো একটি সুপার হাইড্রেটিং ফল। লিচুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, যা শরীরের সঠিক তরল ভারসাম্য ও পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। হাইড্রেটেড থাকা ও ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পুনরায় পূরণ করা ডিহাইড্রেশন রোধ করতেও সক্ষম হয়।

>> লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরের সংক্রমণ ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। গ্রীষ্মে লিচু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় ও মৌসুমি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

>> ভিটামিন সি ছাড়াও, লিচুতে অন্যান্য শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেমন পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এই যৌগগুলো ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে রোধ করতে সাহায্য করে। লিচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবেশ দূষণকারীর প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

>> লিচু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলে, কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ত্বকের গঠন ও স্থিতিস্থাপকতা প্রদান করে। লিচু খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তারুণ্যময় ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। সানবার্নের জেরে ত্বকের ক্ষতি যেমন বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

গরমকালে ডায়েটে লিচুকে রোজ রাখলে কখনও মেদ জমার অবকাশ থাকে না।  হাইড্রেশন, ইমিউন সিস্টেম সমর্থন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা, ত্বকের স্বাস্থ্য, হজম সহায়তা ও রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণসহ এর অসংখ্য স্বাস্থ্যকর সুবিধা রয়েছে।

এসএম