পাকা আমের মধুর স্বাদ কে এড়িয়ে যেতে পারে? সুমিষ্ট এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। তীব্র গরমে প্রাণ জুড়াতে আমের তুলনা হয় না। পুষ্টিকর এই ফলে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্যও আম খাওয়া উচিত। তবে আম খেলেই হবে না, এটি খাওয়ার আছে কিছু নিয়মও। যেমন আম খাওয়ার পরপরই কিছু খাবার খাওয়া যাবে না। কোনগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পানি

আম খাওয়ার পরপরই পানি পান করবেন না। কারণ আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করবেন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।

২. করলা

ধরুন, আম খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভাত খেতে বসলেন। আর ভাতের সঙ্গে আছে করলা ভাজি। তখন কী করবেন? এসময় করলা একদমই খাওয়া চলবে না। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম খাওয়ার পরপরই যদি আপনি করলা খান তাহলে দেখা দিতে পারে বমি কিংবা বমি বমি ভাব। তাই সুস্থ থাকার জন্য আম খাওয়ার পর করলা খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।

৩. দই

পুষ্টিবিদদের মতে, আম খাওয়ার পর দই খাওয়া মোটেই উচিত নয়। অনেকেই না জেনে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। কারণ আম খাওয়ার পর দই খেলে শরীরে শর্করার ভাগ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে নষ্ট হয় শরীরের ভারসাম্য। সেইসঙ্গে হতে পারে বিষক্রিয়াও। তাই আম খাওয়ার পর দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৪. মসলাদার খাবার

আম খাওয়ার পরপরই তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাবেন। কারণ আম খাওয়ার পর এ ধরনের খাবার খেলে দেখা দিতে পারে সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। এছাড়া অতিরিক্ত মসলাদার খাবার আমাদের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। তাই সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য এ ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

৫. কোল্ড ড্রিংকস

কোল্ড ড্রিংক খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর যদি তা আম খাওয়ার পরপরই খান তবে আরও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ কোল্ড ড্রিংকস খেলে তা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। তাই আম খাওয়ার পর এই পানীয় এড়িয়ে যেতে হবে।

এইচএন