গ্রীষ্মকাল মানেই নানা রকম ফলের সমাহার। এসময় মিষ্টি ও রসালো ফলে ভরে থাকে চারপাশ। আম নাকি লিচু, এই দ্বন্দ্বে পড়ে যান অনেকে। কারণ এই দুই ফলই অনেক বেশি সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। টসটসে রসালো ফল লিচু কেবল খেতেই ভালো নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। তবে উপকারী বলেই একসঙ্গে অনেক লিচু খাওয়া চলবে না। বরং খেতে হবে পরিমিত। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

পানির ঘাটতি পূরণ

ভাবছেন এতটুকুন ফল কীভাবে পানির ঘাটতি পূরণ করবে? তাহলে শুনুন, লিচুর প্রায় ৮২ শতাংশই হলো পানি। তাই লিচু খেলে তা গরমের সময়ে সৃষ্ট শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে দারুণ কাজ করে। কারণ গরমে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। সেই ঘাটতি পূরণে কাজ করে লিচু। লিচু খেলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে কাজ করবে।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি

আমাদের সুস্থতার জন্য শরীরে সঠিক রক্ত সঞ্চালন জরুরি। আর সেজন্য খেতে হবে সহায়ক সব খাবার। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লিচু। লিচুতে থাকে অলিগোনাল নামক বিশেষ উপাদান যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। যে কারণে লিচু খেলে তা আমাদের শরীরে রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা তো বটেই, যারা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেজন্য খেতে পারেন লিচুর মতো উপকারী ফল। কারণ লিচুতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে।  

পেটের সমস্যা দূর করে

আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে ফাইবার। লিচু হলো ফাইবারের একটি ভালো উৎস। যে কারণে লিচু খেলে তা পেটের নানা সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। লিচুতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। 

ওজন কমাতে কাজ করে

যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য একটি উপকারী ফল হতে পারে লিচু। কারণ এতে ফাইবার থাকার কারণে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই ফাইবার খাদ্যের পরিপাক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে লিচুতে থাকে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লিচু খেতে পারেন।

এইচএন