বেশিরভাগের ক্ষেত্রে অফিস হলো সেই জায়গা যেখানে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো সহজেই জায়গা করে নিতে পারে। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ সময় বসে থাকা, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো কারণ এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে সচেতনতা এবং কিছু সাধারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক অফিসে ওজন বৃদ্ধির কারণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়-

১. নড়াচড়া কম থাকা

অনেক চাকরির ক্ষেত্রেই একটানা দীর্ঘ সময় সময়ের জন্য বসে থাকা প্রয়োজন হয়। যা আপনাকে আরও অলস করে তোলে। এটি ওজন বৃদ্ধির নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।

নিয়ন্ত্রণ করার টিপস

* মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানো এবং চারপাশে হাঁটার জন্য ছোট বিরতি নিন।

* বসার সময় কমাতে যদি সম্ভব হয় একটি স্থায়ী ডেস্ক ব্যবহার করুন।

* লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি নিন।

* প্রতি ঘণ্টায় উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার জন্য অ্যালার্ম সেট করতে পারেন।

২. স্ট্রেস

কর্মক্ষেত্রে চাপ মানসিক নতুন কিছু নয়। আপনার অফিসের কাজ আপনার জীবনেরই অংশ। তাই কাজের চাপে স্ট্রেস বেড়ে যেতে পারে। বাড়তি ওজনের নেপথ্যে কাজ করে এই স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। কারণ স্ট্রেসের ফলে অনেকেই জাঙ্কফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি ওজন দ্রুতই বাড়িয়ে দেয়।

নিয়ন্ত্রণ করার টিপস

* গভীর শ্বাস, ধ্যান বা যোগব্যায়াম কৌশল চর্চা করুন।

* অস্বাস্থ্যকর নাস্তার বিকল্প হিসেবে বাদাম, ফল, বা সবজির মতো স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার ডেস্কে রাখুন।

* হাঁটার জন্য অল্প বিরতি নিন বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন নিযুক্ত হন।

৩. অস্বাস্থ্যকর নাস্তা

অফিসের নাস্তা কিংবা সহকর্মীর আনা বাইরের খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখা মুশকিল। কারণ অফিসে এমনিতেই সব ধরনের খাবার সহজলভ্য থাকে না, তারওপর মুখরোচক ও লোভনীয় খাবার দেখলে লোভ তো হবেই। আর এভাবেই সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি, বার্গারের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যেতে পারে। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।

নিয়ন্ত্রণ করার টিপস

* অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়াতে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকর নাস্তা নিয়ে যান। যেমন দই, ফল, ঘরে তৈরি কেক ইত্যাদি।

* আপনার ডেস্কে একটি পানির বোতল রাখুন। হাইড্রেটেড থাকতে এবং তৃষ্ণা কমাতে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

* খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হোন। প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ করে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

এইচএন