পাইলসের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ঘরোয়া উপায়ে মিলবে স্বস্তি
দিনের পর দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। এখান থেকেই বাড়ছে পাইলসের সম্ভাবনা। মূলত, ভুল খাদ্যাভ্যাস ও অলস জীবনযাপনের জেরে বাড়ে পাইলসের ঝুঁকি। হেমারয়েডস বা পাইলসে আক্রান্ত হলে মলদ্বারে প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহ মলদ্বারের ভেতর ও বাইরেও হয়। পায়খানা করতে মারাত্মক কষ্ট হয়। ব্যথা-যন্ত্রণার সঙ্গে রক্তপাত হয়।
দিনের পর দিন এই সমস্যায় ভুগলে এটি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি লাইফস্টাইল নিয়ে সচেতন থাকলে পাইলসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
ইসবগুল : শরীরে ফাইবারের ঘাটতি থাকলে মলত্যাগে কষ্ট হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা বাড়ে। তাই ডিনার সেরে ইসবগুল ভুসি খান। ইসবগুলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা মলত্যাগকে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক থেকে দেড় চামচ ইসবগুল ভুসি মিশিয়ে খান।
অ্যালোভেরা : শুধু ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চলবে না। পাইলসের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মলদ্বারের ব্যথা কমাতে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এছাড়া পেট পরিষ্কারের জন্য অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন।
বরফ : পাইলসে আক্রান্ত হলে মলত্যাগে মারাত্মক কষ্ট হয়। মলদ্বারে মারাত্মক প্রদাহ তৈরি হয়। তখন যেন উঠতে বসতেও কষ্ট হয়। সারাদিনের কাজকর্ম পণ্ড পাকিয়ে যায়। মলদ্বারের প্রদাহ কমাতে কোল্ড কমপ্রেস করতে পারেন। দিনে ১৫ মিনিট বরফ লাগালে ব্যথা ও জ্বালাভাব থেকে আরাম পাবেন। তবে, সরাসরি বরফ লাগাবেন না। একটি তোয়ালতে বরফ মুড়ে ব্যবহার করুন। কিংবা আইস প্যাক লাগান।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার : ভুল খাদ্যাভ্যাসের জেরে পাইলসের সমস্যা বাড়ে। তাই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতেই হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবার পাতে ফাইবারে ভরপুর খাবার রাখুন। ফাইবার মলকে নরম করতে এবং পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে মলদ্বারের ব্যথা ও জ্বালাভাব কমে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে শাকসবজি, ফল ও গোটাশস্য খেতে পারেন।
এসএম