ওজন কমাতে ব্যায়ামের জুড়ি নেই। কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা এমনটাই দাবি করেছে।

ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না, মস্তিষ্ক সচল রাখতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে দাবি গবেষকদের।

হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবেটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হলো ডিমেনশিয়া।

গবেষণায় দাবি করা হয়, মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় ২০০ শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে প্রতিদিনের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। 

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা যেভাবে বাড়ায় ব্যায়াম

স্মৃতিশক্তি

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।

মনোযোগ বৃদ্ধি

শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভালো থাকে। সার্বিকভাবে ভালো থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের ওপরেও এর প্রভাব পড়ে।

এমএ