টানা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি নেমেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যস্ত জীবনে। দীর্ঘদিন গরমের ধকল পোহানোর পর এমন বৃষ্টি উপভোগ করতে চান অনেকেই। আর বৃষ্টি উপভোগের উপলক্ষ্য হিসেবে খেয়ে থাকেন নানান খাবার। আসুন নেওয়া যাক বৃষ্টির দিনে কী খেতে পারেন।

খিচুড়ি : বৃষ্টি আর খিচুড়ি যেন একে অন্যের পরিপূরক। সঙ্গে যদি থাকে ইলিশ ভাজা, বেগুন ভাজা... তাহলে তৃপ্তির ঢেঁকুরটা ভালোই হয়। তা না হলে ডিম ভাজাও কিন্তু দারুণ মজা খিচুড়ির সঙ্গে।

নুডলস : বৃষ্টির দিনে ঝটপট রান্না করে খাওয়া যায় এমন তালিকায় প্রথমেই আছে নুডলস। বৃষ্টির ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে গরম-গরম নুডলস খেতে কার না ভালো লাগে।

পাকোড়া : মুচমুচে পাকোড়ার খেতে পারেন বৃষ্টি দিনের বিকেলে বা সন্ধ্যায়। পাকোড়া ভীষণ মজার ও সুস্বাদু। পাকোড়ার সঙ্গে খানিকটা টমেটো কেচাপ কিংবা চাটনি হলে মন্দ হয় না। পরে যদি এক কাপ চা হয়, সেটা তো হয়ে যায় আরও বড় বোনাস।

স্যুপ : বৃষ্টির দিনের শীতল আবহাওয়াতে উষ্ণতা জোগাতে খেতে পারেন স্যুপ। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন চিকেন, মাশরুম, ডিম ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্যুপ।

চা : চা গরম কিংবা গরম চা—বৃষ্টির দিনে যার তুলানা সে নিজেই। সঙ্গে পেঁয়াজ-মরিচ-চানাচুর-সরিষা তেল দিয়ে মুড়ি মাখা হলে কিন্তু বৃষ্টির বিকেল বা সন্ধ্যাটা বেশ জমে ওঠে। অনেকেই গ্রিন টি বা আদা চা পান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে রাখে চনমনে।

পপকর্ন : বৃষ্টির দিনে মুভি দেখতে দেখতে পপকর্ন খাওয়ার মজাই আলাদা। বিকেল বা সন্ধ্যার আড্ডায় পপকর্ন বেছে নিলে মোটেও ভুল করবেন না, এ কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। সাধারণত, ভুট্টা থেকে তৈরি হয় পপকর্ন। এই শস্যে আঁশ বা ফাইবারের পরিমাণ যেমন বিশি তেমনি আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।

কেএ