চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশজুড়ে অনুভূতি হচ্ছে অসহ্য গরম। বেলা বাড়লে বাড়ির বাইরে টেকাই এখন মুশকিল। এই সময় রোদে বের হলেই যে সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায়, তা হলো মাইগ্রেন। বর্তমানে কর্মজীবনের সঙ্গে জড়িত কমবেশি সবাই। আর এই সময় অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে।

গরমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। ওষুধ না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমন ধারণা ভুল। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়া উচিত। গরমে মাইগ্রেন বাড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। নিজের কোনো ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ঘুমে অনিয়ম

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। অবশ্য গরমে সেই ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই একান্তই না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান। এমনকি, দিনের পর দিন রাত জাগলে ঘুম কম হয়, এতেও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে।

অত্যাধিক চিনি খাওয়া

আপনার যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তবে চিনি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। গরমে আমরা সবাই বাজারজাত ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকি। যা একেবারেই ভালো নয়। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাও বাড়তে পারে।

দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা 

গরমে আমাদের খাওয়ায় অনীহা হয়ে থাকে। কিছু খেতেই ইচ্ছা করে না। এই সময় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর টুকটাক কিছু খেতে থাকুন। তবে, তা স্বাস্থ্যকর হতে হবে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকেও দায়ী করা হয়। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত। সময়ে সময়ে জল খেতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

শরীরে পানির ঘাটতি

গরমের দিনে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন সমস্যা হয়। তাই এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই সঙ্গে জল রাখুন। জল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন ডাবের জল, টাটকা ফলের রস খেতে পারেন। তবে সোডাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো

অনেকেই একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। বারবার বসার জায়গা থেকে একটু উঠে হাঁটুন।

কীভাবে মাইগ্রেন প্রতিরোধ করবেন

১. মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির পাশাপাশি তরল পান করতে হবে। যেমন, ডাবের পানি, আখের রস ও টাটকা ফলের রস ইত্যাদি।

২. প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের হবেন না। তবে খুব দরকারে বের হলে টুপি এবং ছাতা ব্যবহার করতে হবে। এমনকি, সানগ্লাসও ব্যবহার করতে হবে।

৩. পর্যাপ্ত ঘুম মাইগ্রেন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

৪. পাশাপাশি মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।

কেএ