বর্তমানে সবচেয়ে পরিচিত ব্যধি হলো ডায়াবেটিস। এটি একবার দেখা দিলে আর কখনোই পুরোপুরি নির্মূল হয় না। আবার দেখা দেওয়ার পর যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তবে অসংখ্য রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই ডায়াবেটিস। তাই আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে যেন ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। সেজন্য কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন ৭ অভ্যাস আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে-

১. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট দিয়ে দিন শুরু

আপনার সকালের নাস্তায় কাঠ বাদাম এবং আখরোটের মতো বাদাম যুক্ত করুন। বাদাম আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে তারপর খাবেন। এটি খাবারে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যোগ করবে। এই ফ্যাট কেবল তৃপ্তিই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও উন্নত করে।

২. সকালের নাস্তায় প্রোটিন যোগ করা

প্রোটিন-সমৃদ্ধ সকালের নাস্তা বেছে নিন। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সারা দিন স্থিতিশীল রাখে। এক্ষেত্রে প্রাণিজ প্রোটিনের থেকেও উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন বেশি উপকারী। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এ ধরনের খাবার নিয়মিত সকালের নাস্তায় খেলে তা ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

৩. আপেল সাইডার ভিনেগার

খাবারের ৩০ মিনিট আগে আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে কাজ করে, যা রক্তে শর্করার ভালো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

আপনার ডায়েটে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, বাদাম এবং সবুজ শাক-সবজি যোগ করুন। ম্যাগনেসিয়াম কোষে গ্লুকোজ গ্রহণকে উৎসাহিত করে, ইনসুলিনের ক্রিয়াকে উন্নত করে। কোন খাবারগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় তা জেনে সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫. খাবার পরে হাঁটা

খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। এই মৃদু ব্যায়াম হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের এ ধরনের অভ্যাস রয়েছে তারা ডায়াবেটিস থেকে সহজেই দূরে থাকতে পারে। তাই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৬. দুপুরের খাবারের সময়

আপনার দিনের সবচেয়ে বড় খাবারটি ১২ থেকে ২ টার মধ্যে গ্রহণ করুন। এসময় হজম শক্তি বেশি থাকে। এই সময়টি হজমকে অপ্টিমাইজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। তাই দুপুরের খাবারের সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন।

৭. দারুচিনি দিয়ে গ্রিন টি

সন্ধ্যায় এক চিমটি দারুচিনি সহ এক কাপ গ্রিন টি উপভোগ করুন। এই সংমিশ্রণটি হজম এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করে। তাই আপনার প্রতিদিন সন্ধ্যায় সঙ্গী হোক দারুচিনি দেওয়া এক কাপ গ্রিন টি।

এইচএন