গরমের আদর্শ ফল তরমুজ। এ ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি রয়েছে। যার কারণে খেলে এটি সহজেই শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। এ ফলের বিচি খেলেও রয়েছে উপকারিতা। তরমুজের বিচি খেলে কী-কী উপকারিতা মেলে, দেখে নিন এক নজরে।

তরমুজের বিচির গুণাগুণ
এতে প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এসব উপাদানগুলো দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা প্রদান করে। ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় তরমুজের বিচি। 

ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর তরমুজের বিচি। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বক ও চুলকানির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে। তরমুজের বিচি ত্বকের ওপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

প্রোটিন থেকে শুরু করে আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এই সব উপাদান চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তরমুজের বিচি চুল পড়া কমায়। পাশাপাশি চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।

তরমুজের বিচির মধ্যে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এর জেরে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া তরমুজের বিচিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ কমায় এটি।

রক্তে শর্করার মাত্রা ঘন ঘন ওঠা-নামা করে? অবশ্যই ডায়েটে রাখুন তরমুজের বিচিকে। ডায়াবেটিসেও খেতে পারেন এটি। তরমুজের দানায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম কার্বোহাইড্রেটের মেটাবলিজমে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম তরমুজের বিচি।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর তরমুজের বিচি। এছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে এতে। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে তরমুজের বিচি। এছাড়া স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা সচল রাখে। মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি কাজ করার এনার্জি বাড়ায় তরমুজের বিচি।

এমএ