করোনা প্রতিরোধে আপনার করণীয় কী?
করোনা মহামারিতে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির কারণে সব মানুষই এখন উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনা সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশেও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু এড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় সচেতনতা। কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধের উপায়গুলো হলো-
বিজ্ঞাপন
মাস্ক পরুন
করোনা থেকে নিজের ও অন্যের সুরক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরে নিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধিতেও মাস্ক পরার ব্যাপারে আমাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া প্রয়োজন।
দূরত্ব রেখে চলাফেরা করুন
ভারতের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, প্রাণঘাতী করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য একে অন্যের কাছ থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরত্বে থেকে কথা-বার্তা বলা উচিত। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘরে থাকুন
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর আমরা ঘরবন্দী রয়েছি। বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে ঘরের ভেতরেই হয়েছে আমাদের ঠাঁই। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন। করোনা যাতে না ছড়াতে পারে সে কারণে সচেতনতার অংশ হিসেবে ঘরে অবস্থান করা উচিত।
হাত পরিষ্কার রাখুন
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সাবান এবং স্যানিটাইজার আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। নিয়মিত সাবান ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে করোনা থেকে পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যাওয়ার সময় এবং ঘরে ফিরে সাবান ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার বিষয়ে আমাদের সচেতন করছেন।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন?
করোনাভাইরাসের কয়েকটি উপসর্গ হলো একটানা তিন দিন ধরে শুকনো কাশি ও জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, খাবারে অরুচি এবং গন্ধহীনতাসহ আরও কিছু সমস্যা। শ্বাসকষ্ট, বুকে অসহ্য ব্যথা এবং ঠোঁটের রঙ নীলচে হয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। পরিবারের সদস্যদের কারও মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা গেলে তাকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এছাড়া রোগীর মনোবল যেন ভেঙে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে এইচএকে/এইচএন/এএ