গ্রীষ্মের তাপ আমাদের শুধু দিনেই নয়, রাতেও কষ্ট দেয়। গরম আবহাওয়ায় আমরা অনেকেই ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন হই। আপনার চারপাশের তাপমাত্রা খুব বেশি হলে ঘুমের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়া কঠিন হতে পারে এমনকী রাত পার হয়ে গেলেও অনেক সময় ঘুম নাও আসতে পারে। এমন অবস্থায় কী করা উচিত? এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এই ঋতুতে হালকা এবং হাইড্রেটিং খাবার খাওয়া উচিত তা সবারই জানা, কিন্তু রাতে আপনার কী খাওয়া উচিত? কোন কাজগুলো আপনাকে রাতে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রাতে মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই খাবারের পরে মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করে। কিন্তু আপনি রাতের খাবারের পরে ডেজার্ট এড়িয়ে গেলেই ভালো, বিশেষ করে যদি আপনার খাবার এবং শোবার সময়ের মধ্যে বড় ব্যবধান না থাকে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার আপনার ইনসুলিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে শান্তিতে ঘুমানো কঠিন হতে পারে। সেইসঙ্গে ফ্যাট সমৃদ্ধ আইসক্রিমের মতো ডেজার্টও সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত ফ্যাট হজম করার জন্য আপনার শরীরের সময় প্রয়োজন হয়। এটি না হওয়া পর্যন্ত শরীর পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে সক্ষম হবে না। তাই রাতে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেলে তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

অতিরিক্ত মসলাকে না বলুন

চিনি এবং ফ্যাটই কেবল নয়, অতিরিক্ত মসলাও ঘুম নষ্ট করতে পারে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার হজমের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গুরুতর সমস্যার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনার অন্ত্র আরাম না পায় তাহলে শরীরও বিশ্রাম পাবে না আপনি চাইলেও ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন না। মসলাদার খাবার শরীরের ওপর গরম করার প্রভাব ফেলে এবং গরমে এর ব্যবহার সীমিত করা উচিত। গরম আবহাওয়ায় আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।

কলা, বাদাম এবং মধু খান

এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। কলা, মধু এবং বাদাম এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। মধুতে প্রাকৃতিক চিনির উপাদান রয়েছে যা ট্রিপটোফ্যান এবং সেরোটোনিনকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে দেয়। এটি শরীরকে শিথিল করে এমন রাসায়নিক পদার্থকে মুক্ত করে। কলা এবং বাদামে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এ জাতীয় খাবার উদ্বেগ উপশম করতে সহায়তা করতে পারে।

এইচএন