তরমুজ ফ্রিজে রাখলে কী হয়?
মিষ্টি এবং রসালো তরমুজ খাওয়ার সময় এখন। বাইরে সবুজ আর ভেতরে লাল রঙের এই গ্রীষ্মকালীন ফল আমরা সবাই পছন্দ করি। এটি সুপার হাইড্রেটিং এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের ঠান্ডা করে। তাছাড়া এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিকে পাবলিশিং হাউসের হিলিং ফুডস বই অনুসারে, সিট্রুলাইন হলো তরমুজে পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড, এটি নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ায়।
তরমুজ খেলে তা আমাদের ডিটক্স করতে এবং শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এই ফলে ক্যালোরি থাকে অনেক কম, তাই মিষ্টি এই ফল খেলেও ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কি জানেন, ফ্রিজে রাখলে তা তরমুজের পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে?
বিজ্ঞাপন
USDA দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে ফ্রিজে তরমুজ সংরক্ষণ করলে তা পুষ্টিগুণ কমিয়ে দিতে পারে। জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত, ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা তরমুজ রেফ্রিজারেটেড তরমুজের চেয়ে বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে।
আরও পড়ুন
ওকলাহোমার লেনে ইউএসডিএর দক্ষিণ কেন্দ্রীয় কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির গবেষকরা ১৪ দিন ধরে বিভিন্ন জনপ্রিয় জাতের তরমুজ পরীক্ষা করেছেন। তারা এই তরমুজগুলো ৭০-, ৫৫- এবং ৪১- ডিগ্রি ফারেনহাইটে সংরক্ষণ করে। তারা দেখেছে যে ৭০- ডিগ্রি ফারেনহাইটে সঞ্চয় করা তরমুজে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করাগুলোর তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে বেশি পুষ্টি রয়েছে।
তারা ব্যাখ্যা করে যে তরমুজ তোলার পরেও কিছু পুষ্টি তৈরি করে। এটি রেফ্রিজারেটরে রাখলে ধীর হয়ে যায় বা পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে, রেফ্রিজারেটেড তাপমাত্রায় এগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষয় হতে শুরু করে (যেখানে একটি তরমুজের স্বাভাবিক শেলফ লাইফ ১৪ থেকে ২১ দিন)। বিষয়গুলো বিবেচনা করে তরমুজ ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন যাতে এর সুবিধাগুলো সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করা যায়।
এইচএন