মানসিক চাপ? জেনে নিন দূর করার জাদুকরী ৫ উপায়
আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যেই ঢুকে পড়ে মানসিক চাপ। চাইলেও একে এড়ানো যায় না তখন। আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই স্ট্রেস। বিভিন্ন কারণে তৈরি হতে পারে মানসিক চাপ। তবে তার সঙ্গে লড়াই আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে। কারণ আপনি যত হাল ছেড়ে দেবেন আপনার শরীর ও মনের অবস্থা ততই বেহাল হবে। মানসিক চাপ নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ এটি দূর করার কিছু জাদুকরী উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. গভীর নিঃশ্বাস নিন
বিজ্ঞাপন
ধীর এবং গভীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে শরীরকে শিথিল করার সংকেত দেন। এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্রে একটি শান্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। একটি শান্ত স্থান খুঁজুন, আরামে বসুন বা শুয়ে থাকুন এবং আপনার নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার ওপর ফোকাস করুন, পেটকে প্রসারিত করতে দিন, তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। যখনই আপনি মানসিক চাপ অনুভব করবেন তখন কয়েক মিনিটের জন্য এটি করুন।
২. হাসুন
হাসি হলো সর্বোত্তম ওষুধ, মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে এটি আসলেই সত্যি। একটি মজার মুভি দেখা, আপনাকে হাসায় এমন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, অথবা এমনকি হাসির যোগব্যায়াম করা সবই এন্ডোরফিন নিঃসরণে সাহায্য করতে পারে, শরীরের স্বাভাবিক ফিল-গুড কেমিক্যাল, যা স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবকে প্রতিহত করতে পারে।
৩. সামাজিক চক্র
মানসিক চাপ মোকাবিলায় মানুষের সঙ্গে সংযোগের শক্তিকে অবহেলা করবেন না। বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটালে তা স্ট্রেসের নেতিবাচক প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ অনুভব করলে তাই আপনজনের দ্বারস্থ হোন। টেলিফোনে কথোপকথন হোক বা একটি মজার আউটিং, আপনি ভালো বোধ করবেন এমন কিছু করুন।
আরও পড়ুন
৪. ইতিবাচক চিন্তা
মানসিক চাপ অনুভব করলে নিজের সঙ্গেই কিছুক্ষণ কথা বলুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইতিবাচক চিন্তা করবেন। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি চাপ অনুভব করছেন এবং এর সমাধান কী। নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে বাদ দিতে পারলে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারবেন। কী ভুল হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে, আপনি কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সেই চিন্তা করুন।
৫. জার্নালিং শুরু করুন
লেখা শুরু করুন। আপনার মনের সমস্ত না বলা কথা, আবেগ লিখে রাখলে তা মানসিক চাপ কমানোর একটি থেরাপিউটিক উপায় হতে পারে। এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে লিখে রাখুন। যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের কথা লিখুন। আপনার উদ্বেগগুলোকে আপনার মন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লিখুন। এতে লেখা শেষে দেখবেন আপনার মনের চাপ অনেকটাই কমেছে।
এইচএন