নেতৃত্ব তাকেই মানায় যিনি সামনে থেকে পথ দেখাতে পারেন। আপনি যোগ্য না হলে কখনোই নেতৃত্বের মতো জায়গায় টিকে থাকতে পারবেন না। তাই এক্ষেত্রে দক্ষতা একান্ত জরুরি। একজন দক্ষ দলনেতা হতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সাফল্য কিংবা ব্যর্থতায় মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দক্ষ নেতৃত্বের জন্য কোন ৫ কাজ করবেন-

১. স্পষ্ট লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা

লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা স্পষ্ট করে দিলে তা আপনার দলকে দিকনির্দেশ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবে। দলের সামর্থ্য এবং তাদের দেওয়া সুবিধা অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। অবাস্তব কোনো লক্ষ্য বা প্রত্যাশা রাখা যাবে না। এটি কর্মীর জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২. উদাহরণ তৈরি করুন

আপনি কী করছেন তার পুরো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দলনেতা হিসেবে তারা আপনাকেই অনুসরণ করবে। তাই অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করতে চাইলে নিজের কাজের প্রতি সচেতন হোন। আপনি কর্মঠ হলে ফল ভালো হবে। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩. কমিউনিকেশন

একটি দলের উৎপাদনশীলতার ভিত্তি হলো কমিউনিকেশন। পুরো দলের সদস্যদের সঙ্গে ভালো কমিউনিকেশন গড়ে তুলুন। যেন তারা আপনার কাছে কাজ সম্পর্কিত কোনো কথা বলতে ভয় না পায়। দলের সদস্যদের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। কঠোরতার পাশাপাশি কমনীয়তাও প্রয়োজন। কখন কোনটি প্রয়োগ করতে হবে তা বুঝতে পারা এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

৪. সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরি করে দলের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করুন। আক্রমণাত্মক কিংবা বিদ্বেষমূলক আচরণ সহ্য করবেন না। এ ধরনের কাউকে পেলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনুন। পারস্পারিক সহযোগিতা থাকলে যেকোনো কাজের সুফল অনেক গুণ বেড়ে যায়।

৫. কাজকে অগ্রাধিকার দিন

মনে রাখবেন, আপনারা কাজের উদ্দেশ্যেই এক হয়েছেন। দলনেতা হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী কাজ চিহ্নিত করে যোগ্য ব্যক্তির কাছে তা বন্টন করা। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পূর্ণ হলো কি না তার খেয়াল রাখা। তাই সবকিছুর আগে কাজকে অগ্রাধিকার দিন। আপনার একাগ্রতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা ইত্যাদির সঙ্গে বিনয় ও সৌজন্যতা যোগ হলে তা আপনাকে নেতৃত্বের জায়গায় আরও যোগ্য করে তুলবে।

এইচএন