হলুদ আমাদের অনেক রান্নায়ই ব্যবহৃত হয়। মসলাটি ওজন কমাতে সাহায্য করা সহ আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য পরিচিত। হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের মধ্যে প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়। তবে শুধু হলুদ ওজন কমানোর জন্য জাদুকরী কোনো সমাধান নয়, এটি সঠিক উপায়ে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত যোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. খাবারে যোগ করুন

হলুদ খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো এটি খাবারের সঙ্গে যোগ করা। ভাজা শাক-সবজিতে হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। স্যুপ এবং স্টুতে মিশিয়ে নাড়ুন। তরকারির ঝোলে তো ব্যবহার করা হয়ই, স্বাদ এবং রঙের জন্য ভাতেও যোগ করতে পারেন। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদানের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ শরীরে এর শোষণ এবং কার্যকারিতা বাড়ায়।

২. গোলমরিচের সঙ্গে

গোলমরিচে পাওয়া যায় পাইপেরিন। এটি একটি যৌগ যা হলুদে কার্কিউমিনের শোষণকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। তাই যখনই সম্ভব গোলমরিচের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান। হলুদযুক্ত খাবারে এক চিমটি গোলমরিচ যোগ করার কথা বিবেচনা করুন। এর ফলে ওজন কমানোর সুবিধাগুলো লাভ করা সহজ হবে।

৩. গোল্ডেন মিল্ক

গোল্ডেন মিল্ক হলুদ দুধ নামেও পরিচিত। আয়ুর্বেদিক ওষুধে জনপ্রিয় একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয়। গোল্ডেন মিল্ক তৈরি করতে হলুদের গুঁড়া গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর তার সঙ্গে গোল মরিচ ও মধু মিশিয়ে নিন বাড়তি স্বাদ ও পুষ্টির জন্য। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গোল্ডেন মিল্ক পান করুন। এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রা সহজ করবে।

৪. হলুদ চা

গোল্ডেন মিল্কের মতো হলুদ চা হলো আরেকটি প্রশান্তিদায়ক পানীয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। হলুদ চা বানাতে হলুদের গুঁড়া বা তাজা হলুদের টুকরো গরম পানিতে দিয়ে জ্বাল করুন। এর সঙ্গে গোলমরিচ এবং অন্যান্য মসলা যেমন আদা এবং দারুচিনি মেশান। ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিন যদি মিষ্টি খেতে চান। হলুদ চা পান করলে তা বিপাক এবং তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়।

৫. স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে

কারকিউমিন চর্বি-দ্রবণীয়, যার অর্থ ফ্যাট দিয়ে খাওয়া হলে এটি আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডোর মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হলুদ যুক্ত খাবারের সঙ্গে যোগ করুন যাতে এর শোষণ এবং কার্যকারিতা বাড়ানো যায়। র শরীরের ক্ষুধা এবং পূর্ণতার সংকেত শুনুন।

এইচএন