রোজায় যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়, ইসুবগুলের ভুসি তার ভেতরে অন্যতম। ছোট্ট এই দানা ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা হয় শরবত। আর সেই শরবত ইফতারে খেলে একসঙ্গে পাওয়া যায় অনেকগুলো উপকারিতা। যে কারণে সারা বছর তো বটেই, রমজানেও নিয়মিত ইসুবগুল খাওয়া জরুরি। এটি হজমের সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, অনেক ধরনের রোগ করতেই কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

প্রস্রাবে সমস্যা দূর করে

গরমের সময় এমনিতেই পানি বেশি খাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু রোজার জন্য দিনের বেলায় সেটি সম্ভব হয় না। যে কারণে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। বিশেষ করে প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা কিন্তু আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। তাই শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। আপনার যদি প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায় কিংবা প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে নিয়মিত ইসুবগুলের শরবত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি প্রস্রাসের সমস্যা দূর করতে কাজ করে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের সুস্থতার জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুলের হাইগ্রোস্কোপিক উপাদান রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। সেইসঙ্গে খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণেও বাধা দেয় এটি।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে ইসুবগুল। কারণ এর শরবত খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। যে কারণে ঘনঘন ক্ষুধা লাগে না এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ভয়ও থাকে না। ফলস্বরূপ ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। ইফতারে ইসুবগুলের শরবতের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। তবে এক্ষেত্রে চিনির বদলে মধু মেশাতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

কোষ্ঠকঠিন্য দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। পেট পরিষ্কার না হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরেই। এমনকী অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যায় আপনাকে আরাম দেবে ইসুবগুল। ইফতারের আগে এককাপ ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে ইসবগুল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তাতে সামান্য চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন। এভাবে খেলে রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।

এইচএন