মানুষ কথায় কথায় বলে— ‘কপালে লেখা ছিল’। সত্যিই কি কপালে কিছু লেখা থাকে কিংবা কপাল দেখে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়?। অনেকে মনে করেন, কপাল দেখে শুধু ভাগ্যগণনাই নয়। বলে দেওয়া যায় ব্যক্তিত্ব ও তার বৈশিষ্ট্যও। চোখ, নাক, গাল, চিবুক, ঠোঁট থেকে শুরু করে চুল—সব মিলিয়ে আমাদের মুখকে বলা হয় ব্যক্তিত্বের মানচিত্র। কপাল দেখে পার্সোনালিটি টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ। কোন ধরনের কপালের গঠনে ব্যক্তিত্ব কী রকম হবে, দেখে নিই তার বৈশিষ্ট্য।

বড় চওড়া কপাল

যাদের কপাল প্রশস্ত হয়, তারা সাধারণত স্বভাবের দিক থেকে মাল্টিটাস্কার হন। একই সঙ্গে অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। গুছিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। লোককে সদুপদেশ দেন। তারা ভারসাম্য বজায় রাখেন জীবনে। তাদের চিন্তাভাবনা স্বচ্ছ এবং যুক্তি দিয়ে বিচার করেন। জীবনে সফল হন। সময়ের তুলনায় এগিয়ে থাকেন। যে কোনো জিনিস দ্রুত শিখতে পারেন। নেতৃত্ব দিতে ভালোবাসেন।

সরু অপরিসর কপাল

এরকম যাদের কপালের আয়তন, তারা মস্তিষ্কের তুলনায় হৃদয়কে বেশি গুরুত্ব দেন। স্বভাবে আপনারা বেশ মিশুকে। অন্যদের নেগেটিভিটি সহজেই প্রবেশ করে আপনার মনে। প্রভাবিত করে আপনাকে।

কার্ভড বা ঢেউ খেলানো কপাল

এরকম কপাল থাকলে তারা সহজ হন স্বভাবের দিক থেকে। বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের জন্য হাসিখুশি থাকতে পারেন। সহজে বন্ধুও তৈরি করতে পারেন। আপনি আশাবাদী এবং জানেন কোথায় কী বলতে হবে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে হৈ হৈ করে থাকতে ভালোবাসেন তারা।

এম আকৃতির কপাল

এরকম কপাল থাকলে তারা শৈল্পিক মনোভাবের হন। নিজের মনের অভিব্যক্তি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। আপনার মন আধুনিক। সম্পর্কে আধুনিকতার ছোঁয়া পছন্দ করেন। এই দু’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন আপনি। মনের দিক থেকে আপনি কল্পনাপ্রবণ এবং সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসেন।

আমাদের ব্যক্তিত্ব ব্যবহার, মুড, মোটিভেশন, মানসিক অভ্যাস ও বুদ্ধিবৃত্তির সম্মিলিত রূপ। তবুও মনোবিদরা মনে করেন মুখের বৈশিষ্ট্যে ফুটে ওঠে চরিত্রের রূপরেখা। মুখের অভিব্যক্তি দেখেও ব্যক্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এসএম