চিয়া সিডস খুবই উপকারী একটি খাবার। এটি গরমকালে যে কোনো সময়ই খাওয়া যায়। তবে সকালে খালি পেটে খেতে পারলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। চিয়া সিডস দিয়ে স্মুদি বা শরবত তৈরি করা যায়। পাশাপাশি দই বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায় জলখাবার হিসেবে। দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে পারে। স্বাস্থ্য আর সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হলো চিয়া সিডস। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড করে। রইলো চিয়া সিডসের পাঁচটি উপকারিতা।

পুষ্টিগুণ

চিয়া সিডস পুষ্টির জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। চিয়া সিডসে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি ব়্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনল রয়েছে।

হজমে সাহায্য

চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিয়া সিডস পেটে জলের মত পদার্থ তৈরি করে। যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে পারে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হার্টের জন্য উপকারী

চিয়া সিডসে আলফা- লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি এক ধরনের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।

হাইড্রেশনে সাহায্য করে

চিয়া সিডস যখন তরল যেমন জল জাতীয় কোনও কিছুর সংস্পর্শে আসে, তখন সেটি নিজের ওজনের ১০ গুণ পর্যন্ত জল শোষণ করতে পারে। জলের মত পদার্থ তৈরি করে, যা হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই জল বা তরলের সঙ্গে চিয়া সিডস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সকালে একটার চিয়া সিডসের শরবত খেলে সারা দিন হাইড্রেটেড থাকা যায়।

কেএ