চিনি ছাড়া একটি দিনও চলা মুশকিল। প্রতিদিনের চা কিংবা কফি, বাড়িতে অতিথি এলে তার আপ্যায়নে শরবত কিংবা মিষ্টান্ন, যা-ই তৈরি করুন না কেন, চিনির প্রয়োজন হবেই। অনেকেই মিষ্টি খাবার খেতে বেশি ভালোবাসেন, বিশেষ করে শিশুরা চিনির তৈরি খাবার বেশি পছন্দ করে। এক্ষেত্রে চিনি বাদ দেওয়া মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে চিনি খাওয়ার অনেক অপকারী দিক রয়েছে? শুধু শরীরে নয়, মনেও পড়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব।

চিনি কীভাবে মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করে সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তথ্য দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ কারিশমা শাহ। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে চিনি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই চিনি খাওয়ার আগে খেতে হবে বুঝেশুনে।

পুষ্টিবিদ কারিশমা শাহ বলেন, আপনি যদি নিয়মিত অতিরিক্ত চিনি খেতে থাকেন তবে তা আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খাওয়ার ফলে মেজাজের পরিবর্তন, উদ্বেগ এবং হতাশা দেখা দিতে পারে। তাই চিনি খেলেও খেতে হবে পরিমাণ বুঝে। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া কোনো খাবারই খাওয়া যাবে না। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর তো হবেই, সেইসঙ্গে মানসিক অস্থিরতারও কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

চিনি খেলে তা সাময়িক মন ভালো রাখতে পারে। কারণ ডোপামিনের দ্রুত মুক্তির কারণে চিনি মেজাজ এবং এনার্জি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এভাবে বেশিক্ষণ নয়, কিছু সময় পর এই মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে ক্লান্ত, খিটখিটে এবং স্ট্রেস অনুভব হতে পারে। তাই চিনি খাওয়ার অভ্যাসের দিকে খেয়াল দিতে হবে। শিশু জিদ করলেও তাকে অতিরিক্ত চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার খেতে দেওয়া যাবে না।

যারা মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন তারা চিনি খাওয়ার পরিমাণের দিকে খেয়াল করুন। অতিরিক্ত চিনি আপনার শরীরে প্রবেশ করছে না তো? কারণ পুষ্টিবিদের মতে, অতিরিক্ত চিনি খেলে সে কারণে মাথা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কের প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতাশা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এইচএন