ঘুমের সময় কখন? এর উত্তর একজন শিশুরও জানা। ঘুমের সময় হলো রাত। তাহলে আমরা দুপুরে ঘুমাই কেন? অবশ্য দুপুরে ঘুমানোর সুযোগ অনেকেরই হয় না। যারা এসময়টাতে বাড়িতে থাকেন, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে আয়েশ করে দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় একটু গড়িয়ে নেওয়া কিংবা কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিতে পছন্দ করেন অনেকে। একে তাই ভাতঘুমও বলা হয়। কিন্তু দুপুরের এই ঘুম কি উপকারী? নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

দুপুরে কিছুটা সময় ন্যাপ নিলে শরীর চনমনে হয় ঠিকই কিন্তু এর বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দুপুরের ঘুমের অভ্যাস আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্ষতির সৃষ্টি করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে তাদের ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল এবং হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দুপুরের ঘুম এ ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে কাজ করে।

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। তেমনই ভালো নয় অতিরিক্ত ঘুমও। আপনি যদি দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস করেন তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই রাতের ঘুমে ঘাটতি পড়ে যাবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার রুটিনও এলোমেলো হয়ে যাবে। এর কিন্তু অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে আপনার শরীর ও জীবনযাপনে। তাই রাতে নিয়ম করে পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত এবং প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। দিনের বেলার ঘুম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে সুস্থ থাকা সহজ হয়।

যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। খাবার, শরীরচর্চা থেকে শুরু করে ঘুম, কোনোটিই অনিয়মিত হলে চলবে না। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে দুপুরের ঘুম এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ দুপুরে ঘুমালে তা ওজন বাড়াতে কাজ করে। আপনি যদি দুপুরের সময় ঘুমানোর অভ্যাস করেন তবে তা মেটাবলিজম কমিয়ে দেবে এবং ওজন বাড়িয়ে দেবে। সেইসঙ্গে বাড়বে ভুঁড়িও। যাদের হজমের সমস্যায় রয়েছে তারাও দুপুরবেলা ঘুম এড়িয়ে চলবেন।

এইচএন