আমাদের শরীরে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তার ক্ষতিকর অনেক প্রভাব পড়তে পারে। হয়তো আপনি বুঝতেও পারছেন না, নীরবে বেড়ে যাচ্ছে এই উপাদান। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখা জরুরি। এখন কথা হলো, কী করে বুঝবেন যে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে চলেছে? কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো খেয়াল করে দেখলে এটি বোঝা যেতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

পায়ে ব্যথা ও অন্যান্য

আপনার কি মাঝেমাঝেই পায়ে ব্যথা হয়? এ ধরনের লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন। কারণ এটি হতে পারে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফল। অনেক সময় পায়ে ফোলাভাব দেখা যেতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রক্ত সঞ্চালনের অভাবে পায়ের ত্বকে বিবর্ণতা দেখা যায়। এ কারণে ত্বকে অনেক সময় নীল বা বেগুনি দাগ দেখা যায়, যেগুলো অক্সিজেনের অভাবে হয়ে থাকে।

হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকলে

যাদের শরীরে কোলেস্টেরল বেশি থাকে তাদের ধমনী সংকুচিত হতে শুরু করে। এর ফলে রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো হয় না। রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে হাত-পা প্রায়ই ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই আপনার হাত-পা সব সময় ঠান্ডা হতে দেখলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এ বিষয়ে একদমই অবহেলা করবেন না।

শরীরে ব্যথা হলে

আপনার কি প্রায়ই শরীরে ব্যথা হয়ে থাকে? এর পেছনে কারণও খুঁজে পাচ্ছেন না? এর অন্যতম কারণ হতে পারে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকা। এর ফলে হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব হতে থাকে।  এর কারণও ধমনীতে ব্লকেজ বা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া, যার কারণে রক্ত চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঠিকমতো রক্ত না পাওয়ার কারণে শরীরে ব্যথা হয়।

ক্ষত না সারলে

শরীরের কোথাও কেটে-ছড়ে যাওয়ার পর যদি সেই ক্ষত সহজে না সারে তবে সতর্ক হোন। কারণ, এটি হতে পারে কোলেস্টেরল বেশি থাকার ফলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কোনো ক্ষতের সৃষ্ট হলে তা সারতে অনেক সময় লাগে বা সহজে সারতে চায় না। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসা নিন।

এইচএন