বিদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য হয়ে উঠছে স্ট্রবেরি। রঙিন ও আকর্ষণীয় দেখতে এই ফল খেতেও দারুণ সুস্বাদু। তবে এখানেই শেষ নয়, স্ট্রবেরি খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতাও। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে একসঙ্গে অনেকগুলো উপকার পাবেন। তাই স্ট্রবেরির মৌসুমে এটি পাতে রাখতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিদিনের সালাদে যোগ করতে পারেন এই ফল। এছাড়া এর জুস, জ্যাম, জেলিও বেশ সুস্বাদু। চলুন, জেনে নেওয়া যাক স্ট্রবেরি খেলে শরীরে কী ঘটে-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ এতে সব ধরনের  ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ হয়। আপনি যদি নিয়মিত স্ট্রবেরি খান তাহলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করবে। এই ফলে ভিটামিন এবং পানি দুটিই বেশি থাকে। যে কারণে গরমের সময়ে এটি বেশ উপকারী।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

বর্তমানে অনেক কম বয়সীর মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে খাদ্যাভ্যাসও। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস বেছে নিতে হবে। সেই তালিকায় রাখতে পারনে স্ট্রবেরির নাম। কারণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্ট্রবেরির ভূমিকা রয়েছে। এই ফল নিয়মিত খেলে তা শরীরে পটাশিয়াম পৌঁছে দেয়। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩. হার্ট ভালো রাখে

হার্ট ভালো রাখার জন্য বেছে নিতে হবে সহায়ক খাবার। তেমনই একটি ফল হলো স্ট্রবেরি। এটি আপনাকে হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখতে স্ট্রবেরির গুরুত্ব অপরিসীম। খাবারের তালিকায় স্ট্রবেরি রাখলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।

৪. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী

অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য উপকারী। বেশ কয়েক বছর ধরে স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি খাওয়া বেশ কয়েকজনের উপর সমীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের বয়সের তুলনায় মস্তিষ্ক বেশি ভালো কাজ করে। স্ট্রবেরিতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।

৫. পেট ভালো রাখে

পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য হলেও আপনার পাতে রাখুন স্ট্রবেরি নামক ফলটি। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পেট ভালো রাখতে এবং ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রিবায়োটিক হিসাবে স্ট্রবেরির গুরুত্ব রয়েছে। এটি যে কারও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও।

এইচএন